জানুয়ারী ৮, ২০২০
বনধের নামে গুন্ডামি বরদাস্ত নয়: মুখ্যমন্ত্রী

আজ বাম দলগুলির ডাকা বনধের নাম করে রাজ্যজুড়ে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনধের নাম করে গুন্ডামির তীব্র নিন্দা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গায়ের জোরে বাংলায় বনধ করতে দেওয়া হবে না।
ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
সিপিএমের কোনও আদর্শ বা নুন্যতম মূল্যবোধ নেই। ট্রেন লাইনে বোমা রাখা কোন আন্দোলন নয়। এটা গুন্ডামি। ক্ষতি হলে সাধারণ মানুষের হতো।
আন্দোলন করতে পারে না ওরা। আন্দোলন করার জন্য রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়। জীবন আর আদর্শ দিয়ে আন্দোলন করতে হয়।
আমরাও পথে পথে মিছিল করছি। আমি ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। কোনও বাস, ট্রাকে কেউ হাত দেয়নি – এর নাম আন্দোলন
আমি ধর্মতলায় ২১ দিন মানবাধিকার ধর্না করেছিলাম, তারপর মানবাধিকার কমিশন চালু হয়েছিল – এর নাম আন্দোলন
NPR-NPC-CAA নিয়ে আমরা সরকার থেকে এর বিরোধিতা করছি, দল থেকে বিরোধিতা করছি
JNU তে ছাত্রদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছি আমরা, সেখানে আমরা আমাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি।
লখনৌ, অসম, দিল্লির শাহীন বাগ – সব জায়গায়া আমরা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে আছি
বনধ, আন্দোলনের নাম করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে, কোথাও বাসযাত্রীদের আটক করা হচ্ছে, কোথাও পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। এটা দাদাগিরি, এটা আন্দোলন নয়
ভারতের অর্থনীতিতে ধ্বস নেমেছে। বনধ করলে মানুষের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়। মানুষকে এই অবস্থায় সাহায্য না করে কেন এভাবে দেশের ক্ষতি করবে?
আমি ইস্যুকে সমর্থন করি, সমর্থন করার অনেক রাস্তা আছে। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলনে কোন বাধা নেই। কিন্তু গায়ের জোরে বাংলায় বনধ করতে দেওয়া হবে না
ওদের প্রতিটি বনধই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। ওরা ভাবে বনধ করে ওরা সস্তার পাবলিসিটি পাবে। বোম মেরে সস্তার পাবলিসিটি হওয়ার চেয়ে রাজনৈতিক মৃত্যু হওয়া ভালো
এখানে গুণ্ডামি করে বনধের রাজনীতি করছে। দিল্লীতে এসব করার সাহস নেই। এর জন্য বুকের পাটা চাই। বাংলার শান্তি নষ্ট করছে, ৩৪ বছরে কিছু করেনি, আর এখন আমরা যা যা তৈরি করেছি সব নষ্ট করছে
আমি সিপিএমের মতন গুলি ও মারপিট পন্থায় বিশ্বাস করি না। যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছেন, সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে
গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন, এভাবে আন্দোলনের নামে গুন্ডাবাজি বন্ধ করুন। এই করেই দলটা আজ সাইনবোর্ডে এসে ঠেকেছে
বাংলা সর্বতোভাবে এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে, বাংলার প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। যেখানে দরকার নেই সেখানে ওরা আগ বাড়িয়ে আগুন লাগাচ্ছে, এ আবার কিসের আন্দোলন? এই আন্দোলনকে আমি ধিক্কার জানাই