জানুয়ারী ৬, ২০২০
জেএনইউ-র ঘটনা পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে মারধর করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এবং বিজেপিকে দেশজুড়ে ঘৃণা ও সহিংসতার পরিবেশ ছড়িয়ে দেওয়ার এবং বিশেষত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করার অভিযোগ করেছেন।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ–
আজ আমি পূর্ণ সময়ের রাজনীতিবিদ। কিন্তু আমি একজন ছাত্র নেতা হিসেবে, একজন ছাত্র কর্মী হিসেবে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করি, তাই আমি ছাত্র রাজনীতি খুব ভাল জানি।
আমি দেখেছি কিভাবে তারা ছাত্র, এমনকি অধ্যাপকদের অত্যাচার করছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
কেউ ওদের বিরুদ্ধে কথা বললেই, তাদেরকেই ওরা দেশদ্রোহী বলছে।
পাকিস্তান গণতান্ত্রিক দেশ নয়, কিন্তু আমি গর্বের সাথে বলতে পারি ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু জেএনইউ, জেএমআই, আইআইটি, বিশ্ব-ভারতীতে কি হচ্ছে দেখুন।
সিআইএসএফ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের শিল্প স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রক্ষা করার কথা। তারা দেশের সম্পদ রক্ষা করার জন্য নিয়োজিত।
কিন্তু এখন দেখছি আমার দেশে অনেক বিজেপি নেতা তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হিসাবে সিআইএসএফ কে ব্যবহার করছে। এই নেতারা দেশের স্বার্থে কাজ করে না।
দিল্লি পুলিশ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হাত নেই। তাই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ইচ্ছামতো তাদের কাজে লাগাচ্ছে।পুলিশদের নিষ্ক্রিয় রেখেছে এবং বিজেপির লোকেরা যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ অন্যায়, এটা একেবারে ফ্যাসিবাদী সার্জিকাল স্ট্রাইক।
আমরা দেখেছি লক্ষ্ণৌ, মোরাদাবাদে কি ঘটেছে, শাহীন বাগে কি ঘটছে দেখুন।
রাজনীতিতে, সরকার আসে সরকার চলে যায়। কিন্তু কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে যা খুশি তাই করতে পারে না। আমাদের সবাইকে সংবিধান মেনে কাজ করা উচিত।
আমি সকল ছাত্র সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করছি সংঘবদ্ধ হন এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে সকলে একসাথে লড়াই করুন। আমরা সবাই সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-এর বিরুদ্ধে কথা বলেছি এটা তাদের আসল চিন্তার কারণ। তাই আসুন আমরা একসাথে লড়াই করি। আমরা সবাই ছাত্র সম্প্রদায়ের সাথে আছি।
আমি আমার দলের টিমকে প্রথমে দিল্লিতে গিয়ে জেএনইউ-র ছাত্রদের এবং তারপরে শাহিনবাগ গিয়ে মানুষের সঙ্গে দেখা করতে বলেছি।
আপনারা দেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরা কি করেছে, এমনকি একজন সাংবিধানিক পদাধিকারী কিভাবে ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন। ওরা শুধু জেইউ নয়, সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করছে।আমি মনে করি এ ধরনের কিছু করা উচিত নয়।
এখন এটা দেশের খুব বিপজ্জনক অবস্থা। আমি জানি না কি আগামীকাল ঘটবে। এটা ঠিক যেন ভারতের দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম।