সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২০, ২০২০

বাংলার মাটিতে সন্ত্রাস হতে দেব নাঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলার মাটিতে সন্ত্রাস হতে দেব নাঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রতি বছরের মত এবছরেও শিলিগুড়িতে আজ উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি নজন বিশিষ্টকে তুলে দেওয়া হয় বঙ্গরত্ন পুরষ্কার।তাঁদেরকে স্মারক ও এক লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়। এছাড়া এই মঞ্চ থেকে প্রতিটি জেলার ১০ জন করে মোট ৯০ জন দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

উত্তরবঙ্গ অবহেলার শিকার, দীর্ঘদিন ধরে সম্মান পাচ্ছিল না। আগে অনেক অনুন্নত ছিল। আজ ৬টা জেলার জায়গায় ৮টা নতুন জেলা তৈরি হয়েছে। আমরা উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা তৈরি করেছি।

প্রতিটা জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, নতুন জেলা ভবন, জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ, আফ্রিকান সাফারি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি, ভোরের আলো, কালিম্পং দার্জিলিং-এর লামাহাটা, কুচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় , আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে দক্ষিন দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ, সেতু থেকে শুরু করে চ্যাংরা বান্দা রেলস্টেশন করে দেওয়া হয়েছে।

কুচবিহারে এয়ারপোর্ট করে দেওয়া হয়েছে, নয়ডায় এয়ারপোর্ট হচ্ছে। বালুরঘাটে এয়ারপোর্ট হচ্ছে। বাগডোগরার এয়ারপোর্ট বর্ধিত করা হচ্ছে। নাইট ল্যান্ডিং ফেসিলিটিস করা হয়েছে। শিলিগুড়ি নতুন পুলিশ কমিশনার করে দেওয়া হয়েছে। নয়ডা নতুন ডিভিশন তৈরি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ হয়েছে।

চা বাগান থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আমরা প্রচুর কাজ করছি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অশান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল।

বাংলার মাটি সোনার মাটি। বাংলার মাটিতে সন্ত্রাস হতে দেব না। বাংলার মাটিকে কলঙ্কিত হতে দেব না। এই মাটিতে কাউকে লিঞ্চিং করতে দেব না। মানুষে মানুষে ভাগাভাগি করতে দেব না। কারও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না।

সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। বাংলায় কোনও ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই নাগরিক। এই মাটিতে আমাদের সবার অধিকার। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারতকে ভালোবাসি।

আমি উত্তরবঙ্গতে বার বার আসি কারণ উত্তরবঙ্গকে আমি ভালোবাসি।। দক্ষিণবঙ্গ যদি হয় আমার স্বজন উত্তরবঙ্গ আমার আপন। আমি চাই বাংলার ছাত্রছাত্রীরা সারা বিশ্ব সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, খেলাধুলা দিয়ে জয় করুক।

২২ তারিখ এনআরসি আর এনপিআর-এর বিরুদ্ধে পাহাড়ে র‍্যালি আছে। ২৩ তারিখ এখানে নেতাজীর জন্মদিন পালন করে কলকাতায় ফিরে যাব। এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি আছি আপনাদের ভয় নেই। আমরা সিএএ, এনপিআর-এর বিরুদ্ধে। বাংলায় নাগরিকত্ব আইন হবেনা। আমি ৩৬৫দিন আপনাদের পাহারাদার। আমি শুধু ভোটের পাহারাদার নই। এনপিআর বৈঠকে যাইনি, একলা প্রতিবাদ করেছি।

এনপিআর-এ ওরা মুখে বলছে বাবা-মার জন্মের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়, না দিলেও চলবে। এনপিআর আইনের কাগজপত্র-এ যখন লেখা আছে সেটা সংশোধন না করা হচ্ছে এটা করা যাবে না।

আমরা ভারতের সকল মনীষীদের ভালোবাসি সম্মান করি। তোমরা গর্ব করো যে এই মনীষীদের মাটিতে জন্মেছ। এটাই তোমাদের উত্তরের উত্তরণ।