জানুয়ারী ২২, ২০২০
বাংলায় একটাও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করতে দেব নাঃ দিদি

আজ দার্জিলিঙের ভানুভক্ত ভবন থেকে চক বাজার পর্যন্ত এক মহামিছিলের নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলের শেষে সেখানে আসা সকল মানুষকে সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে আশ্বস্ত করেন তিনি।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
আমি পাহাড়ে বসবাসকারী সবাইকে বলব, এনআরসি, এনপিআর ও সিএএতে ভয় না পেতে। আমাদের এখানে বহু ভাষাভাষীর মানুষ বাস করেন। আমরা সকলে ভারতীয়। কেন আপনারা অসমের এনআরসি তালিকা থেকে ১ লক্ষ গোর্খাকে বাদ দিলেন? আমরা একসঙ্গে লড়ব। কেন দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৩ বছর পর আমাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। আমরা সবাই সমস্ত প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন করেছি। আমরা সবাই নাগরিক, আমাদের সকলের ভোটাধিকার আছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বড় বড় কথা বলছেন। একমাত্র বাংলা এনপিআর বৈঠকে যায়নি। ওরা আপনার বাবা মার জন্মের সার্টিফিকেট চাইছে। অনেকের সেটা নেই। এখন আবার বলছে ওগুলো বাধ্যতামূলক না। তাহলে ওইগুলোর কথা ফর্মে আছে কেন?
কয়েকবছর পর আপনাদের বিদেশী করে দেবে ওরা। তারপর আপনাদের সম্পত্তি, চাকরি সব বাজেয়াপ্ত করে নেবে। কেন বিজেপি ত্রিপুরায় এটা চালু করছে না? কারন, ওখানে বিজেপির সরকার। ওরা দেশের কর্মসংস্থান নিয়ে কিছু বলছে না। বিএসএনএল, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি, এয়ার ইন্ডিয়া সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানালে তাদের অত্যাচার করা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে দিয়েছে। প্রতিবাদ করলেই বলা হচ্ছে পাকিস্তানি। আমরা কেন পাকিস্তানি হব? আমরা হিন্দুস্তানি।
যখন যখন আমি দেখি দার্জিলিঙের মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, আমি তখনই ছুটে আসি। ওরা বলছে অনলাইনে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। এটা পুরোপুরি মিথ্যা।
আপনারা সকলে ভোটার সে ব্যবসায়ী বা চাকুরীজীবী যাই হোন না কেন। এটা আপনার অধিকার। কেউ এটা কেড়ে নিতে পারেনা। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।
যতদিন না এনআরসি ও সিএএ প্রত্যাহার করা হচ্ছে আমাদের আন্দোলন চলছে। আমরা একজনকেও এখান থেকে চলে যেতে দেব না। ওরা অনেক মানুষ খুন করেছে। ওরা চায় শুধু বিজেপির মানুষ এখানে থাক, বাকি সবাই চলে যাক।
কেউ কোনও নথি দেখতে চাইলে দেখাবেন না। শুধু ভোটার তালিকায় নাম তুলে রাখুন। আমরা ওদের বাংলায় একটাও ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরী করতে দেব না।