সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২৫, ২০২০

বাংলায় বাড়ছে পর্যটন

বাংলায় বাড়ছে পর্যটন

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত সাড়ে আট বছরে রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিপুল পর্যটন সম্ভবনাকেও কাজে লাগালো হচ্ছে। এখনও অনেক কাজ চলছে।

বাংলায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা। কেরলের মতো পর্যটন কেন্দ্রকে পেছনে ফেলে দশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান দখল করেছে বাংলা।

পর্যটন দপ্তরের সাম্প্রতিক কিছু সাফল্যঃ

  • সাধারণ মানুষকে পর্যটন গন্তব্য এবং সেখানে কি কি উপভোগ করার আছে সে সম্বন্ধে অবগত করতে পর্যটন দপ্তর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাংলা পর্যটন উৎসবের আয়োজন করে। এ যাবত ছটি আয়োজিত হয়েছে – দীঘা, বোলপুর, বিষ্ণুপুর, চন্দননগর, কল্যাণী ও নৈহাটিতে। প্রতিটি উতসবেই বিপুল জনসমাগম হয়েছে।
  • সমস্ত ট্যুরিস্ট লজকে তিন তারা হোটেলের স্তরে উন্নীত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প পর্যায়ক্রমে করা হচ্ছে।
  • ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে দুর্গাপুরে সরকারের নিজস্ব হোটেল ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান চলছে।
  • ২০১৮-১৯ সালে যেসকল নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তাঁর মধ্যে আছে জয়চন্ডীপুর পর্যটন প্রকল্প, পুরুলিয়ার পুঞ্চা উন্নয়ন ব্লকে ভাষা সৌধ তৈরী, তিস্তা পর্যটক আবাসের সম্পূর্ণ সংস্কার, পুরুলিয়ার দোলাডাঙায় পর্যটনের উন্নয়ন, পুরুলিয়ার মুরুগুমায় পর্যটনের উন্নয়ন, জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজের সংস্কার, মূর্তি ট্যুরিস্ট লজ, পথিক মোটেল, শান্তিনিকেতম ট্যুরিস্ট লজ, বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজ।
  • প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক দেশী ও বিদেশী প্রতিনিধি রেড রোডে আয়োজিত দেবী দুর্গার বিসর্জন কার্নিভাল প্রত্যক্ষ করেন। ইউনেস্কোর তালিকায় এই কার্নিভ্যাল ইনট্যাঞ্জিবেল হেরিটেজের তকমা পেতে পারে।
  • দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের সুবিধার্থে দপ্তর রাজ্যের ২৩ জেলাতেই ট্যুরিজম কমিটি গঠন করছে।
  • ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম উত্তরবঙ্গে পর্যটন উৎসব আয়োজন করা হয় একটু কম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মেটেলি, জলপাইগুড়ির গাজোলডোবা, আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়া, দার্জিলিঙের সিটং, কালিম্পং জেলার পেডং, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তালিদিঘিতে।
  • বাণিজ্যিক পর্যটন যা মাইস ট্যুরিজম (মিটিং, ইন্সেন্টিভস, কনফারেন্স, এক্সিবিশান) নামে পরিচিত, ক্রমেই কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, প্রচুর পাঁচ তাঁরা হোটেল ও বিশ্বমানের সুবিধা থাকার জন্য।
  • উত্তরবঙ্গে থাকা বৌদ্ধ স্তুপাগুলির সংস্কার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি স্তূপ চিহ্নিত হয়েছে।
    রাজ্য বন দপ্তর রাজ্যের ১৮টি স্থানে ইকো ট্যুরিজম চালায়। মৎস্য দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকেই বুকিং করা যায় এই স্থানগুলি।
  • জঙ্গলমহল পর্যটন সার্কিটকে তুলে ধরা হচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা, উন্নত হচ্ছে স্থানীয়দের জীবনের মান। এই স্থানের মধ্যে আছে বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোর, ঝাড়গ্রামের লালজাল
  • গাজোলডোবা ইকো ট্যুরিজম হাব – ভোরের আলোঃ তিস্তা বাঁধ ও বৈকুন্ঠপুর বনের মধ্যে ২০৮ একর জমিতে বিস্তৃত এই কেন্দ্র। এই পর্যটন কেন্দ্র উত্তর বঙ্গে নতুন এক কেন্দ্র। এখানে থাকবে একগুচ্ছ সুবিধা। থাকবে ইকো ট্যুরিজম কটেজ, স্পা, উন্নত ইকো লেক রিসর্ট, উন্নত ইকো রিসর্ট, ফুড কোর্ট, আতিথেয়তা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সংগ্রহশালা।
  • ঝড়খালি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্পঃ হেরোভাঙা নদীর তীরে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের ধারে ৯৯ একর জমিতে বিস্তৃত এই প্রকল্প। এখানে প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে। সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ যোগ, পানীয় জলের পরিষেবা, নিকাশি এবং পরিচ্ছন্নতা।