সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ৪, ২০২০

কাগজ বাঁচিয়ে পরিবেশ রক্ষায় সামিল এবার রাজ্য

কাগজ বাঁচিয়ে পরিবেশ রক্ষায় সামিল এবার রাজ্য

এ বার কাগজ বাঁচিয়ে পরিবেশ রক্ষায় সামিল রাজ্য প্রশাসন। তার সঙ্গে ঠেকানো যাবে অপব্যয়ও। সরকার চাইছে, দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজে যতটা সম্ভব কম কাগজ ব্যবহার করার দিকে মনোযোগী হোন আধিকারিক ও কর্মীরা। বেশ কয়েক বছর ধরে নবান্ন ‘পেপারলেস ব্যুরোক্র্যাসি’ তথা প্রশাসনিক স্তরে ডিজিটাল মাধ্যমের প্রয়োগের পথে হাঁটছে। এতে প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতার পাশাপাশি কাজে গতিও মিলছে। লালফিতের ফাঁসও অনেকটা কমবে। তাই, কাগজের ব্যবহার যথাসম্ভব কমানোকে পাখির চোখ করেই এগোতে চায় সরকার।

একই প্রক্রিয়া এ বার জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলী, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় পেপারলেস অফিসের ব্যবস্থা শুরুর কাজে অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে। জেলা প্রশাসন নিয়মিত এই ব্যাপারে নবান্নকে রিপোর্ট দিচ্ছে। তাতে আবার বেশ কিছু অভিনব পদ্ধতি অনুসরণের নজিরও সামনে আসছে। যেমন, পূর্ব বর্ধমানে বাতিল কাগজ সেল্‌ফ হেল্প গ্রুপকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ভাবে কাগজের পুনর্ব্যবহারের মধ্যে দিয়েও পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ করা হয়েছে।

পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক নির্দেশিকা জারি করে কাগজের অপচয় কমানোয় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘খুব জরুরি প্রয়োজন না- হলে এক লাইন বা দু’-তিন লাইনের ই-মেলের প্রিন্টআউট নেওয়ার দরকার নেই।’ অনেক সময়েই প্রশাসনিক স্তরে নানা নথির অকাতরে প্রিন্টআউট নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এটাই বন্ধ করতে চাইছে সরকার। ওই নির্দেশিকায় এটাও বলা হয়েছে, ‘ছোট আকারের ই-মেলের প্রিন্টআউট একান্তই নিতে হলে সেটা আধ পাতার মধ্যে ধরানোর চেষ্টা করতে হবে। কাগজের বাকি অংশ অন্য কাজে লাগবে। অনাবশ্যক গোটা একটা পাতা ব্যবহার না-করাই উচিত।’

পরিবেশ রক্ষায় কাগজের পুনর্ব্যবহারের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ‘প্রিন্টআউট নেওয়া হয়েছে যে সব কাগজে, সেগুলি পরে আর কোনও কাজে না-লাগলে জঞ্জাল হিসেবে ফেলে দেওয়ার দরকার নেই। বরং, সেগুলি সংরক্ষণ করে নথিভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিতে হবে। তারা যতটা পারবে, ওই কাগজ রাইটিং প্যাড তৈরীতে কাজে লাগাবে। ওই রাইটিং প্যাড আবার বিভিন্ন অফিসে কম দামে বিক্রী করা যেতে পারে।’