জানুয়ারী ৯, ২০২০
সিএএ, এনআরসি-র বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ: দিদি

অসাংবিধানিক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার বিরুদ্ধে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক বিশাল মিছিল হয় মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসাত পর্যন্ত।
এই মিছিল শুরু হয় দুপুর ২টোয় মধ্যমগ্রামে। সেখানে দাঁড়িয়ে দিদি শপথ নেন – আমর সবাই নাগরিক। সর্বধর্ম সমন্বয় আমাদের জীবন আদর্শ। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকব। শান্তিতে থাকব। বাংলায় এনআরসি ও ক্যাব করতে দিচ্ছি না ও দেব না। শান্তি রাখতে হবে।
মিছিল শেষ হয় বারাসাত কাছারি ময়দানে। দিদি জানান যে আগামীকাল থেকে রানী রাসমণি রোডে অবস্থান বিক্ষোভ করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:
আমরা সেপ্টেম্বর মাসে একটি প্রস্তাব পাস করিয়েছিলাম। নাগরিকত্ব বিল আমরা মানি না, এনআরসি আমরা মানি না।
আমরা মানুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ মানি না, জাত-পাত মানি না, আমরা কোন ধর্মের ভেদাভেদ মানি না।
ঐক্যবদ্ধ ভারত, ঐক্যবদ্ধ বাংলা, সর্ব ধর্ম সমন্বয় – এটাই আমাদের মন্ত্র। সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকব, একসাথে চলব – এটাই আমরা শিখেছি
কেউ কেউ ভুল বোঝাচ্ছে, তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। উদ্বাস্তু জমির দলিল আমি করে দিয়েছি। সব উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছি।
যে ৯৪ টি উদ্বাস্তু কলোনি সরকারি জমিতে ছিল তাদের পাট্টা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের জমিতে যারা ছিলেন তাদের জন্যও আইন পাস করেছে আমাদের সরকার
কোনও কোনও ধর্মীয় সংগঠনের নামে কেউ কেউ রটাচ্ছে তারা নাকি নিঃশর্তে নাগরিকত্ব দেবে। মতুয়া সম্প্রদায়কে বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অথচ, তারা ইতিমধ্যেই এখানকার নাগরিক। গত ১৯৬৪ সাল থেকে তারা ভোট দিচ্ছেন
ওরা বলছে বাইরে থেকে আসা লোকেদের নাগরিকত্ব দেবে। অনেক মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য দেশে যায়। আর এরা বলছে ৫ বছরের জন্য তাকে বিদেশি হতে হবে। মানে নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে, সব কেড়ে নেবে। এটাই ওদের চালাকি
আসল রহস্য কোথায়, বুঝতে পারছেন? বারবার লাইন দেবে গরীব মানুষ আর ওরা শুধু মানুষে মানুষে ভাগাভাগি করবে
আমরা সকলে এদেশের নাগরিক, আমরা সব নির্বাচনে ভোট দিই।
শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। রেল লাইনের ওপর বোম ফেলে, আগুন লাগিয়ে আন্দোলন হয় না
রাজনৈতিক নেতাদের মানুষের ক্ষতি করার কোন অধিকার নেই। যে আন্দোলনে সকলে একসাথে থাকে, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করে, সেই আন্দোলন জয়ী হয়
কেউ কেউ সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা পক্ষপাতিত্ব করবে। যখন সকলে একসাথে আন্দোলন করে তবেই সেটা মানুষের আন্দোলন হয়
যতদিন বেঁচে থাকব, মানুষের জন্যও কাজ করে যাব। আমি এনআরসি, এনপিআর, সিএএ করতে দেব না।
বাংলা থেকে আমরাই এই আন্দোলন শুরু করেছি। আসুন গণতান্ত্রিক ভাবে এই অমানবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানবিক, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গড়ে তুলি