সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১৩, ২০২০

সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা চলছে

সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা চলছে

রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের ধরনা চলছে। শনিবার সেই চত্বরেই মোদি-বিরোধী স্লোগান তুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সোমবার এই ধরনার চতুর্থ দিন।

রবিবার রাতেই ছাত্রদের ধরনা মঞ্চ পরিসরে ও বহরে বাড়ানো হয়েছে। এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন স্তরের মানুষের সমর্থন বাড়তে থাকায় আরও বড় মঞ্চের প্রয়োজন। যেখানে কখনও সমাজের বিশিষ্টরা, কখনও দলীয় নেতৃত্ব, কখনও নেত্রী নিজে হাজির থেকে দীর্ঘক্ষণ সহজেই ছাত্র আন্দোলনের সাক্ষী থাকতে পারবেন।

মোদি বিরোধিতায় দিল্লির পড়ুয়ারা যেভাবে গর্জে উঠেছে, তৃণমূল নেতৃত্ব চায় কলকাতা থেকেও তাদের ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদের ঝড় উঠুক। সেই কারণেই আন্দোলনের মতোই ধরনামঞ্চের বহর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত।

আজ বিকেলে ধরনা মঞ্চে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ কেউ সস্তার প্রচারের আশায় হিংসাকে প্রশ্রয় দেন। কিন্তু প্রকৃত আন্দোলন আবেগ দিয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে হয়।

ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:

সারা দেশে হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। দেশের বিভিন্ন কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করছে। কেউ যদি ভাবে একটা বা দুটো বিশ্ববিদ্যালয়েই শুধু প্রতিবাদ হচ্ছে, সেটা ভুল

কেউ কেউ পাবলিসিটির জন্য প্রতিবাদ করে। তারা বাসে আগুন লাগে, পাথর ছোড়ে। এটাকে আন্দোলন বলে না। আন্দোলন হয় আবেগ দিয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে, আদর্শ দিয়ে

যারা হিংসাকে সমর্থন করে তারা ‘চিপ পাবলিসিটি’ চায়। প্রকৃত আন্দোলনকারী এক ইঞ্চি জমি ছাড়ে না, হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও

আন্দোলন কখনও ভেদাভেদ করে না। ধর্ম, জাতি, বর্ণের ঊর্ধ্বে আন্দোলন করতে হয়, সবাইকে সাথে নিয়ে

২০০৬ সালে আমিও ২৬ দিন অনশন করেছিলাম কৃষকদের স্বার্থে। সেই সময়ও শীতকাল ছিল।