সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২, ২০২০

৫০ হাজারে পৌঁছবে রাজ্যের শিশু আলয়

৫০ হাজারে পৌঁছবে রাজ্যের শিশু আলয়

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি থাকলেই তা রূপান্তরিত হচ্ছে শিশু আলয়ে। এর ফলেই বদলাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতি। নিজের ইচ্ছেমতো প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিতে পারছে শিশুরা। বড়দিন উপলক্ষ্যে শিশুদের দেওয়া হচ্ছে নানা উপহার। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, রাজ্যে এখন পর্যন্ত ২৬৪০৪টি শিশু আলয় তৈরী হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই সংখ্যা ৫০ হাজার করা হবে।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য শিশু আলয় তৈরীর পর বাড়ছে পড়াশোনায় আগ্রহ। প্রাথমিক সমীক্ষাও একই তথ্য দিচ্ছে। ১৭৭২ সালে ফরাসি ভাষায় একটি বই লেখেন দার্শনিক জ্যা জ্যাক রুশো। বইটির মূল বিষয় ছিল, শিশুরা তাদের মনে ইচ্ছা অনুযায়ী পাঠ নেবে। এই ভাবনা মাথায় রেখে এরাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে শিশু আলয় হিসেবে।

বল, পুতুল, রঙিন ছবি নিয়ে শিশুরা এক দুই তিন গোনা শিখছে। এই ব্যবস্থায় শিশুরা শেখানোর আগেই শিখতে আগ্রহী হচ্ছে। আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের ডেকে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হত। প্রাকৃতিক পরিবেশে শিশুরা অনেক বেশী শেখে।

তিন থেকে ছয় বছরের শিশুদের খেলাধুলা ছাড়া শেখানো হচ্ছে কিভাবে গুরুজনদের সঙ্গে আচার আচরণ করতে হয়, কিভাবে নিজেদের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হয়, বিভিন্ন খেলাধুলা ইত্যাদি। পরিকল্পনা চালু হয় ২০১২ সালে। লক্ষ্যও ছিল শিশুদের সার্বিক বিকাশ।

প্রতি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় শিশু আলয় তৈরী করার পরিকল্পনা নিয়েছে শিশু কল্যাণ দপ্তর। এই শিশু আলয়ে পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হচ্ছে, নিউট্রিমিক্স সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কাউন্সেলিং করা হচ্ছে শিশুদের।

সৌজন্যেঃ সংবাদ প্রতিদিন