জানুয়ারী ১৭, ২০২০
সুষ্ঠু ভাবে শেষ হল গঙ্গাসাগর মেলা

গঙ্গাসাগরে শুধু বুধবার, মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নানের দিনেই অন্তত পাঁচ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে জানান, ১২ জানুয়ারি থেকে সব মিলিয়ে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছুঁয়েছে। এতে তিনি খুব খুশি। মেলা ঘিরেও মৃত্যুর কোনও খবর নেই।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এদিন তিনি সুর চড়িয়েছেন গঙ্গাসাগর মেলা নিয়েও। তিনি জানিয়েছেন, এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় গিয়ে ৪০টি শিশুর জন্ম হয়েছে, এদিন পর্যন্ত মেলায় গিয়েছেন ৫৫ লক্ষ মানুষ। এত বিপুল আয়োজনে কেন্দ্র এক পয়সাও সাহায্য করেনি বলেই এদিন দাবি করেছেন মমতা। আবেগের সুরে তিনি বলেন, ‘গঙ্গাসাগরে এসে সন্তান জন্ম দিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো সুখানুভূতি আর কিছু আছে নাকি!’
গঙ্গাসাগরের বিপুল আয়োজনে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা-ও রাজ্য সরকার একাই বহন করেছে বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে এ দিন খোঁচাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘একটাও এমন রাজ্য দেখাতে পারবেন? ভারত সরকার তুমি কি একটা পয়সাও সাহায্য করেছ?’
এ বারের মেলার মূল লক্ষ্যই ছিল পরিচ্ছন্নতা এবং পরিষেবা। এর সঙ্গে ছিল মেলাকে প্লাস্টিকমুক্ত রাখার চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্য অনেকটা পূরণ হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। পুণ্যার্থীরাও এ জন্য রাজ্য সরকারকে বাহবা দিচ্ছেন। এমনকী বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলিও এ বারের মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনও খুঁত ধরার সুযোগ পায়নি। এমন নির্বিঘ্ন মেলার নজির খুব কম আছে বলে মত রাজ্য প্রশাসনের একাংশের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৮ মন্ত্রী সকাল-সন্ধে মেলার খুঁটিনাটি লক্ষ রেখেছেন। এমনকী অসুস্থদের বাড়ি ফেরাতে ফেরি ঘাট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন মন্ত্রীরা। গুরুতর অসুস্থদের এয়ার-অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতায় পাঠানোর কাজে একেবারে অফিসারদের ভূমিকা নিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসুরা।
মেলাকে প্লাস্টিকমুক্ত রাখতে এ বার অভিনব কিছু উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। তার মধ্যে লাগাতার প্রচার চালানোর পাশাপাশি ক্রেতা সেজে দোকানিদের পরখ করার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। বিশেষ ভাবে চায়ের দোকানগুলিতে। যেখানে নিম্নমানের প্লাস্টিকের কাপই দস্তুর।