সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ৩১, ২০২০

আর্সেনিক প্রতিরোধী ‘মুক্তশ্রী’ ধান আশা জাগাচ্ছে কৃষকদের 

আর্সেনিক প্রতিরোধী ‘মুক্তশ্রী’ ধান আশা জাগাচ্ছে কৃষকদের 

মুক্তশ্রী হল আর্সেনিক সহনশীল, উচ্চ ফলনশীল, সরু, সুগন্ধী ধান। এই ধান খরা, অতি বৃষ্টি সহ্য করতে পারে। ২০১২ সালে উদ্ভাবন ঘটানো হয় আইইটি ২১৮৪৫ – ধানের সেই বিশেষ প্রজাতির। এই প্রজাতির ধান আর্সেনিক সহনশীল। রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কৃষি বিজ্ঞানীরা এই ধানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধানটির নাম দেন মুক্তশ্রী।

এই ধান বোরো ও খরিফ দুই মরশুমেই চাষ করা যায়। কারণ, এই ধানের খরা ও অতি বৃষ্টি সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ধান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সহজে নুইয়ে পড়ে না। বোরোতে চাষ করলে মুক্তশ্রীর উৎপাদন হবে হেক্টরে সাড়ে পাঁচ টন। আর খরিফে চাষ করলে হেক্টরে উৎপাদন পাওয়া যাবে পাঁচ টন। এই ধানের চাল সরু ও সুগন্ধী। লম্বাটে ধান গাছ বলে চাল সরু হয়। চাষিরা এই ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন।

চুঁচুড়া ধান গবেষণা কেন্দ্র মুক্তশ্রী ধানের প্রজনন বীজ দিতে শুরু করেছে। ২০০ কেজি বা তার বেশি বীজ দেবে। সেই মতে সরকারি খামার বা সরকার অনুমোদিত খামারে চলতি বোরো মরশুমে আধারীয় বীজ তৈরির কাজ চলছে। এই বীজ দিয়ে আগামী বছর খরিফে তৈরি করা হবে শংসিত বীজ। ওই শংসিত বীজ চাষিরা আগামী বছর বোরোর মরশুমে পাবেন। পুষ্ট ও জীবনীশক্তিতে ভরপুর হবে এই শংসিত বীজ। ফলে চাষিরা এই ধান চাষ করে ভালো লাভ পাবেন।   

সৌজন্যেঃ বর্তমান