নভেম্বর ৫, ২০১৮
অসমে বাঙালি নিধন - বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ মিছিলে জনতার ঢল

বিজেপির রাজত্বে বাঙালীর অস্তিত্বের লড়াই শুরু হয়েছে। অসমের গণহত্যার প্রতিবাদ কোনও রাজনৈতিক লড়াই নয়। অসমে গণহত্যা প্রতিবাদ সিপিএম-তৃণমূলের লড়াই নয়। লড়াই নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের। বাঙালীর ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সন্মান রক্ষার জন্য বিজেপির জুলুমবাজি, জবরদখলের বিরুদ্ধে লড়াই।
শনিবারের বাঁকুড়া শহরে অসমে পাঁচ বাঙালী খুনের প্রতিবাদ সভায় একথা বলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, “অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসায় এবং কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের ভূমিকার ফলে এই ধরনের নারকীয় ঘটনা ঘটছে। ১৯৮৩ সালে এভাবেই অসমে ‘বাঙলী খেদাও’ অভিযানে মত্ত হয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আজ আবার এনআরসি’র নামে অসমে সেই ঘৃণ্য ‘বাঙালী খেদাও’ অভিযানের চক্রান্ত চলছে। অসমের রাজ্য সরকারের উস্কানি ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অপদার্থতায় অসমে বাঙালীরা এই মুহুর্তে অসহায়। উগ্র প্রাদেশিকতাকে সম্বল করে ভোট রাজনীতির নোংরা স্বাৰ্থ আজ কেবল অসম নয়, সারা দেশের সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্ববোধ বিপন্ন করার খেলায় নেমে পড়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা এই জঘন্য চক্রান্তের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে চাই।” এদিন তিনি এই মঞ্চ থেকেই আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করার ডাক দেন। বাঁকুড়া শহরের লালবাজার থেকে রানিগঞ্জ মোড় হয়ে চকবাজারের ওপর দিয়ে মাচানতলা চৌমাথা পেরিয়ে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে দিয়ে হেঁটে তিনি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভামঞ্চে পৌছান।
পরের দিন একই ইস্যুতে পুরুলিয়ায় প্রতিবাদ মিছিল করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন মোড় থেকে রথতলা পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। এখানেও ছিল সাধারন মানুষের জনজোয়ার। ওই প্রতিবাদ মিছিল শেষে শহরের রথতলায় একটি পথসভা করেন এই জেলার পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিছিলে তিনি স্লোগান দেন, হিন্দু মেরে হিন্দু প্রেম, বিজেপি সেম সেম। বাঙালি মেরে বাঙালি প্রেম, বিজেপি শেম, শেম। মিছিল শেষে পথসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”অসমের ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত করতে হবে। যতদিন না এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে তাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন চলবেই।”
সৌজন্যঃ প্রতিদিন