নভেম্বর ২৯, ২০১৮
পরিবর্তনের জমানায় লাভের মুখ দেখেছে তন্তুজ, মঞ্জুষা

তন্তুজ ও মঞ্জুষা লাভ করেছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র বিভাগের মন্ত্রী বিধানসভায় একথা জানান। ২০১০-১১ আর্থিক বর্ষে তন্তুজের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৫৫.৯কোটি টাকা। লোকসানের পরিমাণ ছিল ১২.৬৯কোটি টাকা। ২০১২-১৩ সাল থেকে তন্তুজ ‘অপারেশানাল প্রফিট’ করছে। ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে তন্তুজের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ২০৪.৯ কোটি টাকা।
‘অপারেশানাল প্রফিট’ দাঁড়িয়েছিল ১০.২৬ কোটি টাকা। তন্তুজের বিপুল বৃদ্ধির কারণ নতুন ডিজাইন। শাড়ির পাশাপাশি জ্যাকেট, স্কার্ফ ও স্টোল বিক্রী করা হচ্ছে। ডিজাইন সেন্টারে নিত্য নতুন ডিজাইন তৈরী হচ্ছে। সেইমতো তৈরী করছেন তাঁতিরা।
মঞ্জুষার ক্ষেত্রে লাভের কারণ, মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে কারুশিল্পী, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সরাসরি জিনিস কিনছে। এমনকি কারুশিল্পীদের যে শিবির করা হয়, সেখান থেকেও জিনিস কেনা হয়। প্রাপ্য অর্থ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হয়। হিসেব রাখা ও আদানপ্রদান কম্পিউটারাইজড করা হয়েছে। ফুলে শিল্পীদের টাকা পেটে সমস্যা হচ্ছে না। ই-কমার্সের মাধ্যমে সামগ্রী বিক্রীর ব্যবস্থা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ বছর ৩১অক্টোবর পর্যন্ত তন্তুজ এবং মঞ্জুষার ব্যবসার পরিমাণ ছিল ১৬৭.৭০কোটি টাকা। অপারেশানাল প্রফিট ছিল ৭.৩৯ কোটি টাকা। পয়লা এপ্রিল ২০১৮ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত মঞ্জুষার মোট ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৭২.৭ কোটি টাকা। লাভের পরিমাণ ছিল ৩.৩৯কোটি টাকা।