নভেম্বর ২২, ২০১৮
নোংরা করলে কড়া ব্যবস্থা, সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা–সহ রাজ্যকে নির্মল ও পরিচ্ছন্ন রাখতে কড়া আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন রাস্তা, সেতু, উড়ালপুল তৈরীর পাশাপাশি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যায়নের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। বাংলা জুড়ে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ সচেতন বা অবচেতনভাবে পান, গুটখার পিক ফেলে বা আবর্জনা ছড়িয়ে পরিবেশ নোংরা করছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’–এর মতো ‘আমার বাংলা, আমার কলকাতা, আমাকে পরিষ্কার রাখতে হবে’— এই সচেতনতা সারা রাজ্য জুড়ে প্রচার করা হবে।’
এদিন নবান্নের সামনে অগ্নিনির্বাপণ দপ্তরের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক লোকেরা অনেক সময় নোংরা করে। এটা ঠিক না। সচেতন হতেই হবে। আমরা গ্রীন সিটি ক্লিন সিটি করবই। শুধু উন্নয়ন করলে হবে না, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নও রাখতে হবে। হাসপাতালে রোগীর পরিবার আসছে। চারিদিকে নোংরা করে দিয়ে চলে যাচ্ছে। ডাস্টবিন দেওয়া হলেও ফেলবে না। এ সব চলতে দেওয়া যায় না। দু–একজন লোক মনে করে তৈরী নয়, ধ্বংস চাই। এ সব বন্ধ করতে হবে।’
পুরমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কলকাতা–সহ রাজ্যকে নির্মল ও পরিচ্ছন্ন রাখাকে মুখ্যমন্ত্রী একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন। এর মোকাবিলায় তিনি মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন। ওই কমিটিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিসের মহানির্দেশক, কলকাতার পুলিস কমিশনার, পরিবেশ, আবাসন, নগরোন্নয়ন, পরিবহণ ও পূর্ত দপ্তরের সচিবদের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার কমিশনার ও কেএমডিএ–র একজন আধিকারিক থাকবেন। ওই কমিটি আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রচারাভিযানে রূপরেখাও স্থির করবেন। যেখানে সেখানে আবর্জনা পড়ে থাকা সমস্যার সমাধান করতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকেও রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।’ কীভাবে রাজ্যকে সম্পূর্ণ আবর্জনামুক্ত করা যায়, মুখ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি তাও দেখবে বলে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি দেখতে পূর্তমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকার পরিছন্নতা ও সৌন্দর্যায়নের বিষয় স্থানীয় থানাগুলিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক থানা এলাকার আওতায় কত পুকুর আছে তার সমীক্ষা করে, সেগুলির সৌন্দর্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার তরফে রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করতে হবে।
সৌজন্যেঃ আজকাল