নভেম্বর ২১, ২০১৮
বিধানসভায় পাশ হল ছিটমহল বিল

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় ছিটমহল বিল পাস হয়। এদিন বিধানসভায় ছিটমহল নিয়ে বিলটি পেশ করেন স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই বিলের ওপর বক্তব্য পেশ করতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছিটমহল পঞ্চায়েতের আওতায় আনা যায় কি না, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’ পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জিকে তিনি বিষয়টি দেখতে বলেন। পাশাপাশিই বলেন, ‘ছিটমহলবাসীদের জমির অধিকার দেওয়া হবে। ওঁদের দুঃখ–বেদনা দূর করতে হবে। কন্যাশ্রী, সবুজসাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ওঁদের আনা হবে। রাস্তাঘাটেরও উন্নতি করতে হবে।’
ছিটমহল ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘ছিটমহলের চুক্তির ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও ভাল হয়েছে। ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জমি পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৯২২ জন ছিটমহলে এসেছেন। তাঁরা এপারের আন্তরিকতা দেখে আর ফিরতে চাইছেন না। কিন্তু বাংলাদেশে পড়াশোনা করে এখানে এসে তাঁদের চাকরি পেতে সমস্যা হচ্ছে। পার্থ চ্যাটার্জিকে বলেছি, বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ছিটমহলের জয়ীতে ব্রিজ তৈরি হবে।ছিটমহলের উন্নতিতে চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রের ১ হাজার ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। তার মধ্যে তারা দিয়েছে ৪৭৯ কোটি টাকা। বাকি টাকা এখনও বকেয়া!’
এদিন এনআরসি নিয়ে আবারও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘নাগরিকপঞ্জির নামে অসমে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চলছে। আমরা তাঁদের পাশে আছি। অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। অসমের সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক ভাল। কিন্তু ওখানে যা চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। ভাগাভাগির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। নাগরিকপঞ্জির নামে ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’