সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ৩, ২০১৮

রাজ্যের স্কুলপাঠ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন

রাজ্যের স্কুলপাঠ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন

নশ্বর জীবনের শেষে কিছু চাওয়া থেকে যায়। থাকে অমরত্বের প্রত্যাশা। যা পূরণ করতে পারে মরণোত্তর অঙ্গদানের অঙ্গীকার। যা মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকার অন্যতম উপায়। মৃত মানুষের দৃষ্টি ফিরে আসে অন্যের চোখে। প্রিয় মানুষটি চলে গেলেও তাঁর হৃৎপিন্ড চালু থাকে ভিন্ন শরীরে। একইভাবে ফুসফুস, কর্নিয়া, যকৃৎ, অগ্নাশয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিও সঠিক সময়ে কাজে লাগালে অমর হতে পারে।

এহেন ‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন’ বিষয়টিকে এবার স্কুলপাঠ্যে অন্তর্ভূক্ত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে বিষয়টি অবশ্যপাঠ্য হচ্ছে। বস্তুত রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে অঙ্গ প্রতিস্থাপনে তুমুল উৎসাহ দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে পুলিশকে উদ্যোগী হতে বলেছেন। ‘ব্রেন ডেথ’ হওয়া মানুষের অঙ্গ স্থানান্তরের সময় রাস্তার সমস্ত সিগন্যাল সবুজ রাখা হয়।

আগেই সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপন শুরু হয়ে গিয়েছিল এ রাজ্যে। এবার তার পুরো বৃত্তান্ত স্কুলের বইয়ে পড়বে ছাত্রছাত্রীরা। বসিরহাটের স্বর্ণেন্দুর পাসাপাশি স্কুলপাঠ্যে থাকছে পর্ণশ্রীর কাজরী বসু, শোভনা সরকার, প্রীতম সাহাদের মতো অঙ্গদাতাদের নাম রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পাঠ্যক্রমে বিষয়টি ঢোকানো হবে।