সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ১৫, ২০১৮

সদ্যোজাতদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প রাজ্য সরকারের

সদ্যোজাতদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প রাজ্য সরকারের

একসময় এরাজ্যে শিশুদের স্বাস্থ্য ছিল খুবই চিন্তার বিষয়। প্রসবকালীন মৃত্যু, শিশু মৃত্যু ছিল খুব সাধারণ ব্যাপার। গত সাত বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পরিচালিত রাজ্য সরকার একগুছ উদ্যোগ নিয়েছে সদ্যোজাতদের জন্য। ফলও মিলেছে হাতে হাতে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই সকল উদ্যোগের ফলে রাজ্যে কি কি পরিবর্তন এসেছে:

প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবঃ ২০১০-১১ সালে ৬৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৯৬ শতাংশ।

সম্পূর্ণ টিকাকরণ: ২০১০-১১ সালে শিশুদের সম্পূর্ণ টিকাকরণের হার ছিল ৮০ যা ২০১৭-১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৯৪।

প্রসবকালীন মৃত্যুর হারঃ ২০০৭-৯ সালে প্রতি ১ লক্ষ প্রসবে মৃত্যু হয় ১৪৫জনের যা এখন কমে হয়েছে ১১২। যেখানে জাতীয় গড় ১৬৭।

শিশু মৃত্যুর হারঃ ২০১০ সালে প্রতি ১ হাজার সদ্যোজাতর মধ্যে মৃত্যু হৎ ৩২জনের যা এখন কমে হয়েছে ২৫। যেখানে জাতীয় গড় ৩৪।

এসএনএসইউ: ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যে একটিও এসএনএসইউ ছিল না, বর্তমানে রাজ্যে ৩০৭টি এসএনএসইউ হয়েছে।

সিক নিয়োন্যাটাল কেয়ার ইউনিটঃ সদ্যোজাতদের জন্য ৬৮টি এসএনসিইউ আছে রাজ্যে। তাছাড়া অতিরিক্ত ২২১৭টি বেড আছে। ২০১১র আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ছটি। এর ফলে নিয়োন্যাটাল ও সদ্যোজাতদের মৃত্যুর হার কমেছে। আরও দুটি সিক নিয়োন্যাটাল কেয়ার ইউনিট তৈরী হচ্ছে কাথি ও শ্রীরামপুরে।

দেশের মধ্যে এই রাজ্যে সর্বোচ্চ সিক ক্রিটিকাল কেয়ার নিউবর্ন বেড ও কেন্দ্র আছে।

মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবঃ ১৬টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের মধ্যে ৭টি অত্যাধুনিক।

প্রসব কেন্দ্রের সার্বিক উন্নয়নঃ ১৩২কোটি টাকা ব্যয়ে লেবার রুম, লেবার অপারেশন থিয়েটার, নিয়ো ন্যাটাল ওয়ার্ড, পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ড উন্নয়ন করা হয়েছে পিএইচসি, বিপিএইচসি, এসজিএইচ ও এসডিএইচ পর্যায়ে।

এই প্রকল্পের জন্য ৩০২টি লেবার রুম, ৩৮৯টি অপারেশন থিয়েটার, ১০৭৫টি টয়লেট ব্লক, ৯৭৫টি পানীয় জলের সুবিধা তৈরী করা হয়েছে।

মাতৃ দুগ্ধ ব্যাঙ্কঃ এসএসকেএম হাসপাতালে পূর্ব ভারতে প্রথম মাতৃ দুগ্ধ ব্যাঙ্ক তৈরী হয়েছে মধুরস্নেহ নামে। ২০১৭ সালে ১৫৫৪ জন সদ্যোজাতকে এসএনসিইউ ও এনআইসিইউতে ভর্তি হয়েছে ওখান থেকে দুধের জন্য।

শিশু সাথী: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প শুরু হয় ২০১৩ সালের ২১শে আগস্ট। এই প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে যে সব শিশুর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন তাদেরকে বিনামুল্যে অস্ত্রোপচার করা।

বাংলায় শিশু স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ পদক্ষেপ অনুসারে রাজ্য সরকার তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সরকারী হাসপাতালগুলিতে প্রতিবছর ৩০০০ শিশুকে বিনামুল্যে হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার করবে।

রাজ্য সরকার সরকার চালিত বিদ্যালয়গুলিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রয়োজনে শিশুর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের ব্যয় করবে।

নিউট্রিশানাল রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারঃ অপুষ্ট শিশুদের চিকিৎসা করতে ও তাদের পরিবারকে পুষ্টির বিষয়ে অবগত করতে গত সাত বছরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৫১টি নিউট্রিশানাল রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার গঠন করা হয়েছে।

মাতৃ যানঃ কেন্দ্রীয় টোল ফ্রি নম্বর ১০২তে ফোন করলে ২৪ ঘণ্টা আপৎকালীন যান পরিষেবা দেওয়া হয় প্রসুতীদের। বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যন্ত এই পরিষেবা দেওয়া হয়।