সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ৯, ২০১৮

তাজপুর ও শঙ্করপুরে তৈরী হচ্ছে বিশ্ববাংলা পার্ক

তাজপুর ও শঙ্করপুরে তৈরী হচ্ছে বিশ্ববাংলা পার্ক

পর্যটক টানতে এবার দীঘা-মন্দারমণির ধাঁচে রামনগরের তাজপুর ও শঙ্করপুর পর্যটনকেন্দ্রের সৈকতে তৈরী হচ্ছে বিশ্ববাংলা পার্ক। দীঘা‑শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এবং রাজ্য পর্যটনদপ্তরের অর্থানুকূল্যে পার্কগুলি তৈরী হচ্ছে। তাজপুর ও শঙ্করপুরকে দীঘার মতো সাজিয়ে তুলতে খরচ হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা।

তাজপুর ও শঙ্করপুরের ওই পার্কে বসে পর্যটকরা যাতে সমুদ্রের শোভা উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য মাথার উপর ছাউনি দেওয়া উন্নতমানের চেয়ার তৈরী হচ্ছে। সর্বত্র বসছে কৃত্রিম ঘাস। সমুদ্র উপকূলের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রবেশপথের দু’পাশে কংক্রিটের মাছ পর্যটকদের স্বাগত জানাবে। থাকছে কংক্রিটের ডলফিন, শঙ্খই। কৃত্রিম টিলাও গড়ে তোলা হচ্ছে। থাকছে রঙিন আলো সমৃদ্ধ ফোয়ারা।

শঙ্করপুরে পাশের নয়ানজুলির দু’পাড় বাঁধানো হয়েছে এবং পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধায় তার উপর ছোট পুল তৈরী হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য থাকছে রেস্তরাঁ। সেখানে মিলবে নানা লোভনীয় পদ। পার্কের মধ্যেও আলোর ব্যবস্থা। নজরদারির চালাতে থাকছে ওয়াচ টাওয়ারও। অন্যদিকে, তাজপুরে বিশ্ববাংলা উদ্যানের পাশাপাশি পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে লাইট হাউস তৈরী হয়েছে। আগে বনদপ্তরের উদ্যোগে সেখানে প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র হয়েছে।

তাজপুরের সৌন্দর্যায়নের জন্য সাড়ে সাত কোটি এবং শঙ্করপুরের সৌন্দর্যায়নের জন্য সাড়ে ছ’কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পর্যটনদপ্তর। দীঘা-মন্দারমণি মেরিন ড্রাইভ রাস্তাকে একসূত্রে বাঁধতে শঙ্করপুরের চম্পা খালের উপর ব্রিজ তৈরী করছে সেচদপ্তর। দু’টি জায়গায় বিশ্ববাংলা পার্কের কাজ শেষ হলে ওই সৈকত দু’টি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এবং পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কাঁথির উপকূলে পর্যটনের মুকুটে পালক হিসেবে জুড়ছে শঙ্করপুর ও তাজপুরের বিশ্ববাংলা পার্ক।

সৌজন্যে: বর্তমান