সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ৫, ২০১৮

মিষ্টি হাবে রেকর্ড ব্যবসা, ব্যবসায়ীদের দিলখুস

মিষ্টি হাবে রেকর্ড ব্যবসা, ব্যবসায়ীদের দিলখুস

শক্তিগড়ের ল্যাংচা! কৃষ্ণনগরের সরভাজা ৷ তা-ও এই কলকাতায় হাতেগরম৷ এর সঙ্গে বাংলার নামী ব্যান্ডের জিভে জল আনা সব মিষ্টি তো রয়েছেই ৷ এক ছাদের তলায় এত মিষ্টির সমাহারে বাণিজ্য এগোচ্ছে তরতরিয়ে ৷ পুজােয় যা ছপ্পড় ফাড়কে দিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন রাজারহাটে ইকোপার্কের লাগোয়া মিষ্টিহাবের ব্যবসায়ীরা৷

চমকে দেওয়ার মতো ব্যবসা পেয়ে দিলখুশ ব্যবসায়ীদের ৷ খুশি হিডকাে কর্তৃপক্ষ ৷ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দরজা খোলার পর নানা সমালোচনার ঝড় বড়ে গিয়েছিল মিষ্টিহাব নিয়ে৷ দ্রুতগামী সড়কের গায়ে এমন একটা প্রকল্প, সেখানে দাড়িয়ে কে মিষ্টি কিনবে, কে-ই বা খাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে ৷ কয়েকমাসের মধ্যেই দেখা গেল মানুষের মধ্যে উৎসাহ যথেষ্ট৷

রাজারহাটে বেড়ে চলা নগরায়ণের মাঝে নামী কোনও মিষ্টি দোকান নেই৷ সল্টলেকে রয়েছে৷ এখানকার মানুষ ইচ্ছে হলেই তা কিনতে পারেন না৷ তা ছাড়া বিমানবন্দর থেকে যাতায়াতের পথে মানুষের ইচ্ছে হলেও উপায় থাকত না বাংলার বিখ্যাত মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার বা বাড়ি ফেরার সময় নিয়ে ঢোকার৷ সেই ইচ্ছে পূরণ সম্ভব হয়েছে মিষ্টিহাবের জন্য৷

কে সি দাস, গাঙ্গুরাম, নবকৃষ্ণ গুঁই , মিঠাই, হিন্দুস্থান সুইটস, নলিনী দাস, গুপ্ত ব্রাদার্সের মতো নামী ব্রান্ডের ১০টি দোকান যেমন রয়েছে, তেমন একটিতে থরে থরে রয়েছে বর্ধমানের সীতাভােগ, মিহিদানা, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কৃষ্ণনগরের সরভাজ্জা, সরপুরিয়া ৷ ফলে চকোলেট সন্দেশ, ছানার জিলিপি, দরবেশ, মহা রাজভোগ বা একেবারে বাঙালির নিজস্ব রসগোল্লা মিলছে এক ছাদের তলায় | হিডকাের তত্তাবধানে এই প্রকল্প চালুর পর প্রথম পুজোতেই কিন্তিমাত করল সবাই | এমন দিনও গিয়েছে, সন্ধ্যা গড়াতেই ভাড়ার শেষ হয়েছে কারও | ইিডকাের এক কর্তাও স্বীকার করেছেন, ব্যবসা বেড়েছে ৷ এবং আগামিদিনে পরিকাঠামোর আরও উন্নতির পরিকল্পনা রয়েছে|