নভেম্বর ১৯, ২০১৮
নির্মল বাংলা মিশন – গ্রাম বাংলার অহংকার

২০১৩ সালের ১৯শে নভেম্বর বিশ্ব শৌচাগার দিবস উপলক্ষে এই রাজ্যে নির্মল বাংলা মিশন চালু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে গত পাঁচ বছরে ৮টি জেলা, ২,২৬৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২৮,১০২টি গ্রাম নির্মল হয়েছে। এই উদ্যোগ পেয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
নদীয়া জেলা দেশের প্রথম নির্মল জেলা ঘোষিত হয়। ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত আরও ১০টি জেলা নির্মল জেলা ঘোষিত হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ৫৮,৭৩,৫৪০ বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ হয়। জনসাধারণের জন্য ১,৬০৮টি শৌচাগার তৈরী হয়েছে। এই শৌচাগার নির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলার সমস্ত জেলাকেই ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মল জেলা ঘোষণা করা হবে। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও জিটিএ অঞ্চল এখনও নির্মল জেলা হয়নি। ১৪টি জেলাকে ইতিমধ্যেই নির্মল ঘোষণা করা হয়েছে। ৩টি জেলায় কাজ সম্পূর্ণ, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বাকি।
গত কয়েক বছরে এই প্রকল্পে বরাদ্দ সমানে বেড়েছে। ২০১২-১৩ সালে ২৫৪.৪১ কোটি টাকা থেকে ২০১৭-১৮ সালে এই বাবদ বরাদ্দ বেড়ে হয় ২৬৬১.২৫ কোটি টাকা। যদিও, এই সময়ে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের অনুদান ৭৫:২৫ থেকে কমে ৬০:৪০য়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে ৫০০টি অতিরিক্ত সাধারণ শৌচাগার তৈরীর পরিকল্পনা দপ্তরের। এছাড়া আরও ৫০০টি গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দেওয়া হবে। নজর দেওয়া হচ্ছে প্রচারমূলক কর্মসূচিতেও।