নভেম্বর ২, ২০১৮
কালী পুজোর উদ্বোধন শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রতি বছরের মত এবছরেও কালীপুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি উত্তর কলকাতার গিরীশ পার্কে একটি পুজো উদ্বোধন করে এবছরের তাঁর কালী পুজোর উদ্বোধনী যাত্রার সূচনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি সকলকে কালীপুজো, দীপাবলী, ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর শুভেচ্ছা জানান।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:
- বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বন। এই উৎসব বাংলার সবচেয়ে বড় বর্ণ, ধর্ম সবকিছুই বলতে পারেন। এতবড় একটি দুর্গাপুজো হয়ে গেল, পল্লীর পুজো, ফ্ল্যাটের পুজো, আবাসনের পুজো – কোটি কোটি মানুষ এই পুজোতে এসেছেন। আমাদের প্রশাসন ক্লাবের সকলকে নিয়ে,পল্লীবাসীদের নিয়ে খুব ভালোভাবে পরিচালনা করেছেন। আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
- বাংলার দুর্গাপুজো আজ সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছে। এবং পুজোর কার্নিভাল “One of the most Important Festival” হিসেবে মানুষের নজর কেড়েছে।
- কেউ বলে কালী পুজো,কেউ বলে শ্যামা পুজো,কেউ বলে দীপাবলী। কেউ প্রদীপ জ্বালায়,কেউ মোমবাতি জ্বালায়। যে যেমন ভাবে পারে তার ধর্ম অনুযায়ী শ্রদ্ধা জানায়। এটা আমাদের সবার। উৎসব তাকেই বলে যেখানে সব মানুষ একত্রিত হয়। ধর্ম আমার ধর্ম তোমার ,ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা দীপাবলীও করি আবার মা কালীর পুজোও করি।
- নানা ধর্ম, নানা বর্ণ। গণেশ পুজো যেমন মহারাষ্ট্রে হয়, তেমন বাংলাতেও হয়। সংস্কৃতি আলাদা হলেও ধর্ম ও আনন্দ সবার। মা আমাদের জীবনকে আলোকিত করো। হৃদয়ে আরো প্রাণ দাও আলোকিত করো। সবটাই যেন আলোর মত করে দেখতে পাই। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবেনা। মারপিট থাকবে না, বঞ্চনা থাকবে না, অত্যাচার থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না। মানুষ মুক্তি পাবে। আমার মুক্তি আলোয় আলোয়।
- কালীপুজো করা হয় বহু ক্লাবে। মা কালীর বহু রূপ তুলে ধরেছে এই ক্লাব কতৃপক্ষ। বাজি ফাটানোর সময় খেয়াল রাখবেন, দেখবেন যেন আপনার আনন্দ অন্যের কষ্টের কারণ না হয়। আমারা সবাই চাই শান্তির মধ্যে দিয়ে পুজোর সমাপন হোক। শক্তির দেবী, মায়ের কাছে আরাধনা করবো, মা আরো শক্তি দাও। আলোর দেবী, মা তুমি সবাইকে ভালো রাখো, সুস্থ রাখো।