সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ২৬, ২০১৮

রক্তচাপ মাপার শিক্ষাও স্কুলপাঠ্যে

রক্তচাপ মাপার শিক্ষাও স্কুলপাঠ্যে

রক্তচাপ মাপার যন্ত্র বাড়িতে কিনে রাখা আছে, কিন্তু সেটা ব্যবহারের কৌশল জানা নেই। নেবুলাইজার আছে বটে, তবে কারও শ্বাসকষ্ট হলে সেটা চালানোর জন্য পাড়ার ওষুধের দোকান থেকে লোক ডাকতে হয়। তা হলে উপায়? এইসব সরঞ্জাম ব্যবহারে কোনও একজন, বিশেষ করে কমবয়সী কেউ পারদর্শী হলে সমস্যার সহজ সমাধান। আর এই বিদ্যা যদি স্কুলের পাঠক্রমে থাকে,তা হলে তো কথাই নেই। রাজ্যে সেটাই শুরু হয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে। ‘হেলথ কেয়ার’-কে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পূর্ণাঙ্গ বিষয় হিসেবে পড়ার সুযোগ এবছর প্রথম দিয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

চলতি বছরে ‘অপশনাল ইলেকটিভ’ হিসাবে উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো শুরু হয়েছে ‘হেলথ কেয়ার’। স্কুলগুলি এই বিষয়টি স্বভাবতই পেয়েছে সাংসদের মাধ্যমে। তবে এর পাঠ্যক্রম তৈরি থেকে শুরু করে উপযুক্ত শিক্ষক দেওয়ার কাজ করছে রাজ্য সরকারের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দপ্তর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই স্কুলে চিরাচরিত পড়াশোনার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট করানোর কাজে মনোনিবেশ করার পরামর্শ অনেকবার দিয়েছেন। এই ধরনের বিষয় অন্তর্ভুক্তির ভাবনা তাঁরই। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন প্রশিক্ষিত হতে পারছে, তেমনই তাদের অভিজ্ঞতা পরিবার ও পরিচিতদের কাজে লাগছে। এই ধরনের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার তাদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিচ্ছে। উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে পড়ার পর তারা চাইলে এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষাও নিতে পারে।

‘হেলথ কেয়ার’ বিষয়টির পাঠ্যক্রম যেভাবে সাজানো হয়েছে, তাতে কোনও পড়ুয়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে এই নিয়ে পড়ার পর বিভিন্ন রোগের কারণ, পথ্য, পরিচর্যা, এমনকী তার চিকিৎসার ধরণ ধারণ করতে পারবেন। রোগীর বিছানা কীভাবে পাততে হয়, গেটে বাতে কোন ধরনের মালিশ কাজে আসতে পারে, প্যাথোলজিকাল পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে সেই মতো রোগীর প্রাথমিক শুশ্রূষা- এই সব বিষয়েও কোনও ছাত্র বা ছাত্রী প্রশিক্ষিত হতে পারবে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার সুযোগও তার রয়েছে। কারণ, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে স্টেথোস্কোপ, ব্রেস্ট মিল্ক সাকার (মায়ের দুধ স্তনে জমে গেলে বার করার যন্ত্র), নেবুলাইজারের ব্যবহার হাতেকলমে শিখতে পারবে পড়ুয়ারা। ভেন্টিলেটর, মনিটর, এক্স-রে, ইসিজি’র সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রাথমিক পাঠ দেওয়ার ব্যাবস্থাও এই বিষয়ে আছে। রয়েছে শরীর ও রোগ, জীবনশৈলি সম্পর্কে পাঠ্যক্রমও। থাকছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনাও।