নভেম্বর ৮, ২০১৮
নোটবাতিলের দিনগুলিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ

৮ই নভেম্বর ২০১৬। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সেদিন মধ্যরাত থেকে সমস্ত ১০০০ ও ৫০০টাকার নোট বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির তথা আপামর জনসাধারনের কি দুর্দশা হতে চলেছে, সেকথা প্রথম আঁচ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দের মধ্যে প্রথম ট্যুইটের মাধ্যমে এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
তিনি এর পর নোটবাতিলের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এবং নতুন নোটের যোগান না আসার কথা নিয়ে কলম ধরেন। লেখেন কবিতাও।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ৩০সে ডিসেম্বর ২০১৬র মধ্যে সমস্ত মানুষ নতুন নোট পেয়ে যাবেন ও তাদের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। বাস্তবে তা হয়নি। নোটবদলের লাইনে ও অন্যান্য বিষয়ে নোটের সমস্যার জন্য প্রাণ গেছিল শতাধিক মানুষের।
দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা যা মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারছিলেন, সেই বিষয় ও দেশের অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে ৩০সে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত ট্যুইট করেন।
তিনি এই নোটবাতিল নিয়ে একটি বইও লেখেন, ‘নোটকথা’। বইটি প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের বইমেলায়। নোটবাতিলের ফলে সাধারণ মানুষের শোচনীয় দুরবস্থার ওপর লেখা মুখ্যমন্ত্রীর এই বই সাধারণ মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলে।
শুধু ট্যুইট, ফেসবুক বা কবিতা, রচনার মধ্যে সাধারণ মানুষের তরফে এই প্রতিবাদকে সীমিত না রেখে, মুখ্যমন্ত্রী পথেও নামেন। কলকাতায় শুধু নয়, রাজধানী দিল্লী, লখনৌ ও পাটনাতেও তিনি জনসভা করেন নোটবন্দীর বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের দুই ভবনেও নোটবাতিলের বিরোধিতায় ধর্না দেয়, ভবনের ভেতরেও সরকারপক্ষকে কোনঠাসা করে।