সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ২২, ২০১৮

ঋণের বোঝা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের অর্থনীতি

ঋণের বোঝা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের অর্থনীতি

রাজ্য সরকার পরিকল্পনা খাতে টাকা বিপুল খরচ করে। পরিকাঠামো উন্নয়নে ২৫ হাজার কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে ‌শুরু করে সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনও প্রচুর অর্থ খরচ করছি।’‌

বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এক বিরোধী বিধায়ক অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, ৩১ অক্টোবর ২০১৮ সাপেক্ষে রাজ্যের মোট ঋণের পরিমাণ কত?‌ অর্থমন্ত্রী জানান, ‘‌বামফ্রন্ট সরকার ২০১১ সালে এই সরকারের ওপর ১,৯১,৮৩৫.‌৬২ কোটি টাকা ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গেছে। এই ঋণের মূলধন এবং সুদ শোধ করার জন্য রাজ্য সরকারকে গত ৭ বছর ধরে ১,৫৩,৭৪১.‌ ৮৯ কোটি টাকা ৩১ অক্টোবর ২০১৮ অবধি ঋণ নিতে হয়েছে। এই দুটি মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩,৪৫,৫৭৭.‌৪১ কোটি টাকা। পুরনো ঋণের বোঝা শোধ করতেই আবার বিপুল পরিমাণে ঋণের বোঝা সরকারের ওপর চেপেছে। এই সরকারের নেওয়া স্বল্প ঋণ মিলিয়ে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ অবধি মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩,৬৭,১৩৬.‌৮৬ কোটি টাকা। স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যের ৭৩ হাজার কোটি টাকা সেভিংস হয়েছে। পরিকল্পনা খাতেই বেশী অর্থ ব্যয় হয়েছে।’‌

অর্থমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‌আগের সরকার ঋণের ফাঁদে ফেলে গিয়েছিল। সেখান থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরোনোর চেষ্টা করছি। মূলধনী খাতে রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে। যেটা দেশের মধ্যে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ই–গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার খুব ভাল কাজ করে চলেছে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৪টে পুরস্কার দিয়েছে। আমরা এর সরলীকরণ করেছি। যা মানুষের উন্নয়নে কাজে লাগছে।’‌

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‌জনসাধারণের স্বার্থে আমাদের মানুষ উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। যা ভারতবর্ষে রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের রাজস্ব বেড়েছে। বাজার থেকে উন্নয়নের জন্য ঋণ নিয়েছি। সব মিলিয়ে রাজ্যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত। আগামী দিনে মানুষের স্বার্থে আরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’‌‌‌‌‌‌‌

সৌজন্যেঃ আজকাল