সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ৬, ২০১৮

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেজে উঠেছে রাজ্যের কালী তীর্থগুলি

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেজে উঠেছে রাজ্যের কালী তীর্থগুলি

তারাপীঠ

তারাপীঠকে নতুন করে সাজিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরী হয়েছে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। মন্দিরের উন্নয়নের সঙ্গেই রাস্তা-আলো-জল-নিকাশি পেয়েছেন মানুষ। তারাপীঠ ঢোকার আগেই তৈরী হয়েছে সুদৃশ্য তোরণ। মহাশ্মশানে সাধুদের জন্য তৈরী হয়েছে পাকা বাড়ি। তারাপীঠ মন্দিরে প্রতিদিনই অগুণতি পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। মন্দির নতুন করে সাজিয়েছে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। একান্ন পীঠের আদলে একই এলাকায় আলাদা আলাদা মন্দির তৈরি হবে তারাপীঠে। পুণ্যার্থীদের থাকার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখেতৈরী হচ্ছে ইলেকট্রিক চুল্লি। তারাপীঠে ১৫০ কোটি টাকারও বেশি কাজ হয়েছে।

দক্ষিণেশ্বর মন্দির

দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরের আমুল পরিবর্তন আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজোর দিনে হাজার হাজার লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। সেই সব ভক্তদের ভোগ খাওয়ার সুবিধা করে দিতে একটি আধুনিক ভোগগৃহ তৈরী করা হয়েছে দক্ষিণেশ্বরে। যেখানে ছশো পুণ্যার্থী একসঙ্গে বসে দক্ষিণা কালীর প্রসাদ হিসেবে ভোগ গ্রহণ করতে পারবেন। এর সঙ্গেই উন্নত হচ্ছে রান্নার জায়গা ও পানীয় জলের ব্যবস্থাও। ভোগগৃহটি তৈরী হচ্ছে মন্দির সংলগ্ন দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির অফিসের গায়ে। এর জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হচ্ছে পাঁচ কোটি টাকা।

এছাড়া, গতকালই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অত্যাধুনিক এই স্কাইওয়াকের মাধ্যমে যারা গাড়ি নিয়ে মন্দিরে যাবেন, তাদের যেমন সুবিধা হচ্ছে, তেমনি সুবিধা হচ্ছে যারা হেঁটে যাচ্ছেন, তাদেরও। স্কাইওয়াক ধরে সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা দক্ষিনেশর রেল ষ্টেশন থেকে। এছাড়া আছে এসকালেটরের মাধ্যমে ওঠা-নামার ব্যবস্থা।

এছাড়া, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব যে বাগানে বসে ধ্যান করতেন সেই পঞ্চবটি বা পঞ্চমন্দিরের সামনের অংশেরও সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। তৈরী হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের গেস্ট হাউস। যাতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। মূল মন্দির এবং লাগোয়া মন্দিরগুলোকে একই রকম রেখে গোটা এলাকার চেহারা বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দক্ষিণেশ্বর ঘাটেরও সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়া, রেল মন্ত্রী থাকাকালিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বর রেল প্রকল্প ঘোষণা করেন।

কালীঘাট

নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে কালীঘাট মন্দির এবং মন্দির সংলগ্ন এলাকা৷ কালীঘাট মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভাকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷কালীঘাটে দুধ পুকুরের সংরক্ষণও করা হচ্ছে৷ স্কাইওয়াকও তৈরী করবে সরকার৷ দু’টি স্কাই ওয়াক বানানোর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে৷ একটি স্কাই ওয়াক কালীঘাট টেম্পল রোড থেকে মন্দির পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়টি কালীঘাট রোড থেকে মন্দির পর্যন্ত নির্মাণ করা হতে পারে।

মন্দিরে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তার পরিসর বাড়ানোর ও সৌন্দর্জায়ন করা হবে৷ কালী মন্দিরের মূল কাঠামো বদল করা হবে না৷ মন্দিরটি যাতে দূর থেকেও দেখা যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ মন্দিরের মূল কাঠামো বজায় রেখে সংলগ্ন এলাকার বাড়ি ও দোকানগুলির ‘অ্যাডজাস্ট ’ ও ‘রিঅ্যাডজাস্ট ’ করা হতে পারে৷ সৌন্দর্যায়নের জন্য সংলগ্ন এলাকার কোনও দোকানদার বা বাড়ির বাসিন্দাকে উত্খাত করা হচ্ছে না৷