সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ১২, ২০১৮

নির্বাচনের সময় ভাগাভাগির রাজনীতি করে বিজেপি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নির্বাচনের সময় ভাগাভাগির রাজনীতি করে বিজেপি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বড়বাজারের পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এই পুজোর আয়োজক হল পোস্তা বাজার মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স।

স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ ছাড়াও, কলকাতা পুলিশের কমিশনার উপস্থিত ছিলেন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

  • এটা একটা কসমোপলিটান জায়গা, হিন্দীভাষী সমস্ত ভাই বোনেরা মিলে এই পুজোর আয়োজন করেন। মজুর, ব্যাবসায়ী, বণিক সম্প্রদায়, যেই হোক, সকলে মিলে এই পুজো করেন। সকলকে স্বাগত জানায়, তাই, আমরা এই পুজোকে ভালোবাসি।
  • আগামীকাল ছট পুজো, সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। হিন্দীভাষীদের জন্য সরকার ২দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ছুটি দেওয়া হয়েছে যাতে আপনারা ভালো করে পুজো করতে পারেন।
  • আমরা স্বভাব এরকম না যে, শুধু ভোটের আগে এসে ভোট চাইব আর অন্য বিপদ আপদের সময় পাশে থাকব না।
  • ওদের জিজ্ঞেস করুন, আপনারা বড়বাজারের জন্য কি করেছেন? পোস্তার জন্য কি করেছেন? হিন্দীভাষীদের জন্য কি করেছেন? বাঙালীদের জন্যই বা কি করেছেন? রাজস্থানে রাজস্থানীদের জন্য কি করেছেন? বিহারে বিহারীদের জন্য কি করেছেন? গুজরাটে গুজরাটিদের জন্য কি করেছেন?
  • বিজেপি আর সিপিএম শুধু ভোটের সময় আসে, আর বছরে ৩৬৫ দিন আমরা পাশে থাকি, এমনকি উৎসবের সময়েও।
  • বিজেপি বলে, আপনি হিন্দীভাষী, তাই বিজেপিকে ভোট দিন। কেন দেবে? হিন্দীভাষীদের জন্য বিজেপি কি করেছে? এখানে ভিন রাজ্যের অনেক মজুর থাকেন। বিজেপিকে যদি জিজ্ঞেস করি, আপনারা গুজরাট থেকে বিহারবাসী, উত্তর প্রদেশবাসীদের কেন বার করে দিয়েছেন?
  • বিজেপি কখনও গুজরাট থেকে বিহারীদের বার করে দিচ্ছে, কখনও অসম থেকে বাঙালীদের বার করে দিচ্ছে। এটাই ওদের স্বভাব।
  • ভোটের সময় ওদের মাথায় শুধু ধর্মের কথা আসে। হিন্দূ ধর্ম কি আজ শুরু হয়েছে? হিন্দু ধর্ম হাজার হাজার বছর আগে শুরু হয়েছে। বিজেপির জন্মই তো ২০-২২ বছর আগে। আজ দেশে ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
  • আমরা সকলকে নিয়ে দুর্গাপুজো করি। জগদ্ধাত্রী পুজো করি সকলকে নিয়ে। ক’দিন পর নবী দিবসও পালন করব। আমরা দেওয়ালি উদযাপন করি। আমরা নবরাত্রি পালন করি, আমি ছট পুজাতেও যাই। এটাই আমাদের পরম্পরা। এটা আমরা বিজেপির থেকে শিখি নি। এটা আমি আমাদের দেশের লোকেদের থেকে শিখেছি।
  • ওরা নির্বাচনের সময় এলে বলবে, যে, হিন্দিভাষীরা আমাদের ভোট দিন। রথের নামে ফাইভ-স্টার হোটেলে ঘুরবে। এই সব চালাকি আমরা অনেক দেখেছি।
  • কখনও ওরা রামের নাম করে ভোট চায়। যে রাম দুর্গাপুজা করেছিল, আমরা তো সেই দুর্গাপুজাই করি।
  • আপনারা যারা ব্যবসায়ী আছেন এখানে অনেকে বিজেপিকে ভোট দিতেন আগে। কিন্তু নোটবন্দীর পরে, জিএসটি লাগু হওয়ার পরে, আপনারা কি এখনও মন থেকে মানছেন না যে ব্যবসার হাল খারাপ হয়ে গেছে। বড়বাজার, পোস্তার আজকে কী অবস্থা হয়েছে! নোটবন্দীর পর আমি তো নিজে এসে বড়বাজারে এসে খোঁজ নিয়েছিলাম যে ব্যবসায়ীদের কি ক্ষতি হয়েছে।
  • আর এখন তো ওরা কয়েক পয়সার বাতাসা কিনতেও জিএসটি-র স্লিপ চাইছে। ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
  • দেশের সব ক’টা সংস্থার ক্ষমতা ওরা কেড়ে নিচ্ছে। আগে কেউ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ইডি বা সিবিআই এর দিকে হাত তুলতো না, কিন্তু ওরা সেটাও নষ্ট করে ফেলেছে।
  • আজকেও ছত্তিসগড়ে ভোটের দিনে মাওবাদী হামলা হয়েছে। ওখানে ওরা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও মাওবাদী সমস্যা মেটাতে পারেনি। আমরা ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মধ্যে এই সমস্যাগুলো সমাধান করে ফেলেছিলাম।
  • ওরা শুধু জানে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে খবর ছড়িয়ে দাঙ্গা বাঁধাতে। যখন সাধারণ মানুষ একের পর এক সমস্যায় পড়ছে, ওরা ফাইভ স্টার হোটেলের মত পার্টি অফিস বানাচ্ছে।
  • আমি চাই আম জনতা, চাই আমাদের শ্রমিক, কৃষক ভাইয়েরা, যুবক যুবতীরা ভালো থাকুক যেটা ওরা চায় না। আজকে যখন ওরা সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে, একদিন মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবে।