নভেম্বর ৩০, ২০১৮
হুগলী জেলাকে সপ্তাহান্তের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে চায় পর্যটন দপ্তর

রাজ্য পর্যটন দপ্তর হুগলী জেলাকে সপ্তাহান্তের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে এক গুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। হুগলী জেলায় একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের ফলে এই জেলাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
পূর্ত দপ্তরের সহযোগিতায় জনপ্রিয় পিকনিক স্পট সবুজদ্বীপে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। তৈরী হচ্ছে পর্যটকদের জন্য একাধিক কটেজ। সবুজদ্বীপে বাঁধ তৈরীতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে সেচ দপ্তর, যার ফলে ওই দ্বীপের আরও উন্নতি হবে।
রাজ্য পর্যটন দপ্তর ইতিমধ্যেই হুগলী ইমামবড়ার সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় পুরসভা পরিকল্পনা করেছে পিপিপি মডেলে তারা একটি রোপওয়ে পরিষেবা শুরু করবে, যা ইমামবড়া ও ব্যান্ডেল চার্চকে সংযুক্ত করবে।
কেএমডিএ ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চন্দননগরের জনপ্রিয় পিকনিক স্পট ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে কটেজ তৈরী করছে। পাশাপাশি চন্দননগরের নিউ দীঘা পর্যটন কেন্দ্রতেও সৌন্দার্যয়নের কাজ করছে তারা।
প্রসঙ্গত, হুগলী নদীর তিরে অবস্থিত ২৩২ বছরের প্রাচীন হেরিটেজ প্রতিষ্ঠান ‘ডেনমার্ক ট্যাভার্নের’ সংস্কার করা হয়েছে হয়েছে সম্প্রতি। ডেনমার্ক ট্যাভার্নে এখন ক্যাফেটেরিয়া আছে ও ছটি বিলাসবহুল ঘর আছে থাকার জন্য। এখানকার বারান্দা থেকে হুগলী নদীর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। এখানেকার আসবাবও সাবেকী। আছে পুরনো কলকাতার বাছাই করা কিছু দর্শনীয় ছবি।
এছাড়া, শ্রীরামপুর আদালত, সেন্ট ওলাভ চার্চ, ল্যান্ড রেজিস্ট্রি বিল্ডিং এরও সংসকার করা হয়েছে।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই রামকৃষ্ণ মঠকে টাকা দেওয়া হয়েছে অন্তপুরে একটি অতিথিশালা নির্মাণ করার জন্য। কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। বাশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দিরের সংস্কারের কাজও চলছে।