সাম্প্রতিক খবর

নভেম্বর ২৬, ২০১৮

অনেক কষ্ট করে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি: ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী

অনেক কষ্ট করে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি: ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী

আজ ঝাড়গ্রাম জেলার কাপগাড়ি সেবাভারতি মহাবিদ্যালয়ের মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন।

সেতু, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিশ্রামাগার, রাস্তার সংস্কার, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। রোগীর পরিবারের জন্য রাত্রিনিবাস কেন্দ্র, ছাত্রী নিবাস, সেচ প্রকল্পের আধুনিকীকরণ, প্রাণী স্বাস্থ্য, রাস্তার সংস্কার, মহিলাদের জন্য চারতলা বিশিষ্ট হস্টেল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নতিকরণ ইত্যাদি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি।

এছাড়াও এলাকার মানুষদের হাতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার বক্তব্যের কিছু অংশ:

আজকের অনুষ্ঠান থেকে আমরা ১০,০০০ মানুষকে সরাসরি পরিষেবা প্রদান করলাম। দেশের বা বিদেশে এত প্রকল্প মানুষের জন্য কোথাও পাবেন না।

১৯৯২ সালে বেলপাহাড়ি থেকে আমার জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন দেখেছিলাম এখানকার গ্রামের মানুষরা পিঁপড়ের ডিম খান।আদিবাসীদের গায়ে চাকা চাকা দাগ দেখে ওদের ওদের জিজ্ঞেস করাতে ওরা বলেছিলো তারা ১২ মাসের মধ্যে ৯ মাস খেতে পায় না, গাছের মূল, পিঁপড়ে সেদ্ধ খেয়ে থাকে, আমি আজও সেই কথা ভুলিনি।

আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর, প্রথম ঝাড়গ্রাম জেলা সফরে এসে সব আদিবাসী পরিবারকে বিপিএল বলে সবাইকে ২টাকা কিলো চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আজ এই জেলার ১০০% মানুষ এই চাল পাচ্ছেন। আর কিছু করতে না পারলেও মানুষের দু’মুঠো খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পেরেছি। এরপরেও যদি কেউ বলে মানুষ খেতে পায় না আমি বিশ্বাস করব না।

আমরা মানুষের জন্য খাদ্য, আশ্রয়, বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

কেন্দু পাতা সংগ্রহকারীরা আগে ৩৭ টাকা পেত, আমাদের সরকার তা ডবলের বেশি করে দিয়েছে, তাদের জন্য নতুন প্রকল্প করা হয়েছে। ৬০ বছর বয়সের পর তারা পেনশন পাচ্ছে।

বিধবা ভাতা, কিষাণ পেনশন চালু করা হয়েছে। ৫০ লক্ষ মেয়েকে কন্যাশ্রী দেওয়া হয়েছে। এখন সবাই পাচ্ছেন এই স্কলারশিপ, কোন বাছবিচার নেই। তপশিলি জাতি/উপজাতিদের জন্য শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে।

ছোটবেলা থেকে মিড ডে মিল, বিনা পয়সায় বই-খাতা-ব্যাগ-জুতো দেওয়া হচ্ছে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের।

জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প চালু হয়েছে। সবুজশ্রী প্রকল্পে শিশু জন্মালেই তাদের একটা করে গাছ দেওয়া হচ্ছে তাদের ভবিষ্যতের জন্য। মৃত্যুর পর মৃতদেহ সৎকারের জন্য বা কবর দেওয়ার জন্য ২০০০ টাকা দেওয়া হয়। শশ্মান, কবস্থানের সন্সকার করে দেওয়া হয়েছে।

নতুন রাস্তা, পলিটেকনিক কলেজ, আই টি আই, খেলার স্টেডিয়াম, ব্রিজ, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কিষাণ মাণ্ডি সব করে দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামকে নতুন জেলা ঘোষণা করা হয়েছে।

সিপিএমের করে যাওয়া দেনা শোধ করে এত সামাজিক কাজ করেছে এমন একটা রাজ্য, এমন একটা সরকার দেখান আমায়। ঝাড়খণ্ডের লোকেরা কলকাতায় আসে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য। ওখানে আদিবাসীদের জমি দখল করে নেওয়া হয়। বাংলায় আদিবাসীদের জমি রক্ষার জন্য আইন করা হয়েছে।

নির্বাচন এলেই কেউ কেউ আদিবাসী আর মাহাতোদের মধ্যে বিভাজন লাগিয়ে দিচ্ছে, হিন্দু-মুসলমান, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন সব আলাদা করে দিচ্ছে। বাংলায় এসব হয় না।

আমরা অল চিকি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি, এই ভাষায় স্কুল, কলেজ হয়েছে, প্যারা টিচার নেওয়া হচ্ছে, আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ও হবে। এছাড়া, রাজবংশী, কামতাপুরি, কুর্মালি, কুরুক, হিন্দি, গুরুমুখী, উর্দু ভাষাকেও স্বীকৃতি দিয়েছি। ঝাড়গ্রাম সাব ডিভিশনও হবে। মানুষের সুবিধার্থে সব কিছু করে দেওয়া হয়েছে।

যারা উল্টোপাল্টা বলে, ভাগাভাগি করে, বড় বড় ভাষণ দেয়, ধর্মের নামে দাদাগিরি করে তাদের আমি জিগ্যেস করি কোথায় ছিলেন যখন এখানে রক্ত ঝরত?

গাড়ি ছিল না, স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল ছিল না, ছেলেমেয়েরা বেরতে পারত না মাওবাদীদের ভয়ে। প্রতি বছর প্রায় ৪০০-৫০০ লোক খুন হত। কত বাড়ির ছেলেমেয়েরা হারিয়ে গেছে। ২৮.০২

আগে আমি যখন আসতাম আমাকেও বলা হত সন্ধ্যের মধ্যে পৌঁছে যেতে। সেদিন কেউ আসত না এখানে। লালগড় থেকে ফেরার সময় পিরাকাটার জঙ্গলে ৩ ঘণ্টা আটকে ছিলাম।

ঝাড়গ্রামের এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে, এখনকার ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় সুযোগ পাচ্ছে, কলকাতার দুর্গাপুজোয় এখানকার আদিবাসীরা ধামসা-মাদল-বাঁশি বাজায়।

যেদিন মানুষ দিনের পর দিন খেতে পেত না সেদিন কোথায় ছিল বিজেপি? কোথায় ছিল সিপিএম? কোথায় ছিল গেরুয়ার দল-লাল পার্টি।

লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায় ২ লক্ষ লোকশিল্পীদের আমরা মাসে ১০০০ টাকা করে দিই এবং তাদের দিয়ে সরকারী বিজ্ঞাপন করানো হয়, তাদের আমরা সরকারী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার সুযোগ করে দিয়েছি।

মাথায় রাখবেন পঞ্চায়েতের উন্নয়ন রাজ্য সরকার করে, কেন্দ্রীয় সরকার নয়। কেন্দ্রীয় সরকার পররাষ্ট্র, সীমান্ত নিয়ে কাজ করে; কাউকে কিছু বলেনা। অর্থ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেশটার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। আরবিআই থেকে সিবিআই সবাই বলছে বাইবাই। স্বাস্থ্য-খাদ্য-শিক্ষা-সবুজ সাথী-বাস-রাস্তা নির্মাণ সব সুবিধা রাজ্য সরকার দেয়।

সব কিছু করবে রাজ্য সরকার আর নির্বাচনের আগে ওরা টাকা নিয়ে এসে, ২ দিন মদ আর ভাত খাইয়ে বলবে ভোট দাও – ওদের টাকা নেবেন কিন্তু ভোট দেবেন না এটা মাথায় রাখবেন। টাকাটা জমিদারির টাকা নয়, জনগণের টাকা, আগামী দিন প্রমান হয়ে যাবে জনধনের নাম করে কত কীর্তি কেলেঙ্কারি হয়েছে। ঝুলি থেকে বেড়াল বেরোবে কখনো না কখনো। আজ সিবিআই, আরবিআই থেকে বেড়াল বেরোচ্ছে আগামিদিন জনধন থেকেও বেরোবে। এলপিজি গ্যাস দেওয়ার নাম করে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে সব বেরোবে, ভাববেন না যে আমাদের কাছে কোন খবর নেই। পেটে ভাত দেওয়ার ক্ষমতা নেই কিল মারার গোসাই।

আমরা তো সর্ব ধর্ম পালন করি। আমরা ওদের মতন নই যে সকালে রাম, বিকেলে বাম আর রাত্রিবেলা খাওয়ার সময় বুমেরাং। এটা আমরা করি না। বাংলা সব ধর্মের সংস্কৃতি পালন করি, কিন্তু আমরা দেবতাদের বিক্রি করে খাই না। ঘরের দেবতা আমাদের কাছে মা – আর সেই মা কেই ওরা বিক্রি করে খায় আর দেশে আগুন জ্বালায়।

ওরা রাবণের পুজো করে, রামের পুজো করে না – ওটা লোক দেখানো, ওটা ভোট দেখানো, ওটা দাঙ্গা লাগানো, মানুষের মধ্যে আগুন জ্বালান, কুৎসা-অপপ্রচার করানো।

ঝাড়গ্রাম থেকে কিছু মাওবাদী এনে বলছে চল রক্ত ঝরাই, আবার মানুষ খুন হবে, মানুষ খেতে পাবে না। বিজেপি ছত্তিসগড়ে এতদিন আছে, তাও কি মাওবাদীদের দমন করতে পেরেছে? পারেনি। রোজ মানুষ খুন হচ্ছে। একটা কাজ করতে পারে না আর বড় বড় কথা।

গ্রামের মানুষ সচেতন থাকবেন, মনে রাখবেন ওই সিপিএম পার্টি ৩৪ বছর ধরে বাংলাকে সর্বশান্ত করেছে। আজ ওরা বিজেপির হাত ধরে সকালে লাল জামা পরে আর বিকেলে গেরুয়া জামা পরে। ওদের নৈতিকতা বলে কিছু নেই। অত্যাচার করে করে শেষ করে দিয়েছে। ওরা চায় না বাংলার মানুষ ভালো থাক।

অনেক কষ্ট করে দার্জিলিং আর জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। আর বিজেপির একটাই কাজ (নেই কাজ তো খই ভাজ) – জনগনের টাকা কেড়ে নিয়ে, সম্পত্তি লুঠ করে দেশটাকে বিক্রি করে দিয়ে শুধু মিথ্যে কথা বলা আর ধর্মীয় সুরসুরি দেওয়া।

খালি তোমার দেবতা, আমার দেবতা, কেন? সব ধর্মের নিজের নিজের দেবতা রয়েছে, সবাই সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করবে। কোথায় খেতে দেবে, পরতে দেবে, শিক্ষা দেবে, চিকিৎসা দেবে, আলো দেবে, দেশকে বাঁচাবে তা না করে, সারাক্ষণ কীভাবে দাঙ্গা লাগাবে চক্রান্ত করে বেড়াচ্ছে।

আমি আমার সকল কন্যাশ্রী দের বলবো যারা চক্রান্ত করছে, ভাগাভাগি করছে তাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের পরিবারকে বোঝান, সবাইকে বোঝান এ জিনিস বাংলায় করা যাবে না। যারা ভাগাভাগি করে এদের কাছে যেও না, ওরা সমাজের শত্রু। এখন ছেলে-মেয়ে সকলেই সবুজ সাথী সাইকেল পায়। এরাই বাংলার ভবিষ্যৎ, সারা ভারতকে জয় করবে, বাংলার গর্ব।

সারা দেশে, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্য – মহারাষ্ট্রে, মধ্যপ্রদেশে, রাজস্থানে – প্রায় ১২ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে। বাংলায় কৃষকদের খাজনা মুকুব করে দিয়েছি, কৃষি জমির মিউটেশন ফ্রি করে দিয়েছি। কৃষকদের কৃষির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে, কিষাণ মাণ্ডি করা হয়েছে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পাচ্ছে।

জঙ্গলমহলের ৪০ হাজারের বেশি ছেলেমেয়েরা পুলিশের বিভিন্ন পদে চাকরি পেয়েছে। সারা দেশে আজ বেকারত্ব বাড়ছে, একমাত্র জায়গা বাংলায় আমরা বেকারত্ব অনেক কমিয়েছি। আমরা চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াক।

আশা – আই সি ডি এস এর মেয়েরা অনেক কাজ করে, হঠাৎ করে তাদের মাইনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, আমরা তা চালু করেছি, সবুজ সাথী সাইকেল, স্মার্ট ফোন দেওয়া হয়েছে, সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে যাতে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়।

১ লক্ষের বেশি সিভিক ভলেণ্টিয়ার নেওয়া হয়েছে, তাদের মাইনে বাড়িয়ে ৮০০০ টাকা করা হয়েছে।

সরকারে যারা চুক্তিমূলক বা ঠিকা শ্রমিক তাদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬০ বছর করা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের অবসরের বয়েস ৬০ বছর করা হয়েছে। তাদের জন্যে স্বাস্থ্য সাথী করা হয়েছে। আশা, আই সি ডি এস, এরকম অনেকের জন্য কাজ করা হয়েছে, তাদের জীবনে নিরাপত্তা আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি।

আমরা প্রায় ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। আরও ১৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে।

কিছু লোক বাইরে থেকে এসে, মাথায় ফেট্টি বেঁধে নানারকম অপপ্রচার করছে, ভুল বোঝাচ্ছে। ওদের হাতে আছে কালো টাকা। গতবার লোকসভা নির্বাচনের আগে বলেছিল ওই কালো টাকা বিদেশ থেকে নিয়ে এসে সবার একাউন্টে ১৫ লাখ করে জমা পরবে। সেই টাকা এখনও কোন মানুষ পায়নি, তা এখনও কারুর না কারুর হাতে আছে, সেটা নিয়ে রাতে অন্ধকারে ঢুকে গ্রামে গ্রামে আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে। এরা এসব ছাড়া কিছু করতে পারে না। মনে রাখবেন যদি শান্তি চান, মা-মাটি মানুষের সরকার ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

স্থানীয় কিছু লোকের ওপর আপনাদের ক্ষোভ থাকতেই পারে। আমি স্থানীয় নেতাদের বলব, মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করুন, মানুষ যদি কোন কাজ নিয়ে যায়, মানবিক ভাবে দেখুন, যেটা করার সেটা করে দিন, যেটা পারবেন না, বুঝিয়ে বলে দিন। কারুর ব্যক্তিগত ভাবে কারুর ওপর রাগ থাকতে পারে, কারুর ব্যবহারে কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে মনে রাখবেন এর জন্যে সরকার দায়ী নয়। যদি কেউ অন্যায় করে ইশ্বর তাকে শাস্তি দেবে, আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবে, জহর থান তাকে শাস্তি দেবে, আমরা তাকে শাস্তি দেবার কে? যারা স্থানীয় প্রশাসনে ও পঞ্চায়েতে আছেন, সবাইকে বল মানুষকে ভালোবাসুন,মানুষের সাথে কাজ করুন।

আমি আদিবাসী ছেলে মেয়েদের অনুরোধ করব যে তোমরা বড় হও, তোমরা শিক্ষিত হও। মানুষ হও। কারও কথা শুনে নিজেকে টাকার কাছে বিকিয়ে দিয়ো না। টাকা আজ আসবে, কাল চলে যাবে, মনুষ্যত্ব কিন্তু থাকবে। এমন কিছু কোরো না, যাতে কেউ বলতে পারে ওই ছেলেটা টাকা খেয়েছে।

আজকে ১০,০০০ মানুষের পরিষেবার সুজোগ করে দিয়ে গেলাম। আমাদের ঝাড়গ্রাম, জঙ্গলমহল ভালো থাকুক, আমার সবুজ সাথী ছেলেমেয়েদের আরও এগোতে হবে, আরোও ভাল করে পড়াশুনো করতে হবে। মাথা নত করবে না, তোমাদের ভবিষ্যৎ তোমরা গড়বে, তোমরা দেশ গড়বে।

মায়েদের চিন্তা করার কিছু নেই, মেয়ের বিয়ের জন্য সরকার ২৫,০০০ টাকা করে দিচ্ছে। কন্যাশ্রী যেমন পড়াশুনা করলে পাচ্ছে সেটা পাবে, এবার রূপশ্রী তার বিয়ের সময় কাজে লাগবে।

আমার ছাত্র-যুবদের কাছে আমার বলার আছে, জীবনে কখনও হতাশ হবেন না, অনেক সুযোগ আছে, খোঁজখবর নিন, কিছু না কিছু সরকারের তরফ থেকে নিশ্চয়ই আছে। স্কিল ট্রেনিং নিন, আগামিদিনে নিজেরা নিজেই অনেক কিছু করতে পারবেন।

সকলকে অনেক অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি। জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম।