নভেম্বর ৬, ২০১৮
বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের

সাপও মরবে অথচ লাঠিও ভাঙবে না! বেআইনি বাজি কারখানার একচেটিয়া দাপট রুখতে এবার এই দাওয়াই প্রয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করতে এবার জেলায় জেলায় বাজি তৈরীর ক্লাস্টার তৈরী করছে রাজ্য।
‘বেআইনিভাবে নয়। বাজি তৈরী করুন প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও যাবতীয় ছাড়পত্র নিয়ে।’ – প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য এটাই। আর এমনটা করতে পারলে বাজির বাজারে শিবকাশীর দাপট যেমন কমানো যাবে তেমনি বেআইনি কারখানাগুলির উপর সহজেই নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যাবে।
রাজ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রধান সচিব হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানে বাজি তৈরীর ক্লাস্টার করবে রাজ্য সরকার। প্রকল্পের সাফল্য অনুযায়ী পরে রাজ্যের সর্বত্র এই ধরনের ক্লাস্টার তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জায়গা চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে।
বর্তমান আইন মোতাবেক একটি বাজি কারখানা তৈরি করতে সর্বপ্রথম জরুরি একটি ক্র্যাকার/এক্সপ্লোসিভ লাইসেন্স। ক্র্যাকার/এক্সপ্লোসিভ আইন ১৯৮৪ অনুযায়ী ৪ নম্বর ফর্ম ফিলাপ করে ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে এই লাইসেন্স পাওয়া যায়। কিন্তু লাইসেন্স পেতে গেলে বেশ কয়েকটি শর্ত পালন করতে হয় আবেদনকারীকে। পুলিশের খাতায় কোনও অপরাধে যুক্ত থাকার রেকর্ড থাকলে লাইসেন্স মিলবে না। আবেদনকারীকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। লাইসেন্স পেতে চার নম্বর ফর্মের সঙ্গে নোটারাইজড এফিডেভিট ও ‘সাইট অ্যাপ্রুভাল প্ল্যান’-এর একটি কপিও জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে।লাইসেন্স পাওয়ার পর প্রয়োজন পরিবেশগত ছাড়পত্রের। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছ থেকে এই ছাড়পত্র পাওয়া যায়।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর সূত্রের খবর, এক জানালা নীতির মাধ্যমে ইচ্ছুক আবেদনকারীদের লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্রের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি দক্ষ কারিগর এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাওকরা হবে। ক্লাস্টারে তৈরী বাজি রপ্তানিতেও সহায়তা করবে সরকার।