নভেম্বর ১৪, ২০১৮
বারুইপুরে নবনির্মিত সংশোধনাগারের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ বারুইপুরে নবনির্মিত সংশোধনাগারের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সংশোধনাগারের প্রথম পর্যায়ের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। উদ্বোধনের পর অন্যান্য সংশোধনাগার থেকে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ আবাসিককে এখানে স্থানান্তরিত করা হবে। বাংলার ইতিহাসে এই প্রথম এতজন একসাথে আবাসিককে স্থানান্তরিত করা হবে। স্থানান্তরিত হবে রাজ্যের একমাত্র ফাঁসিকাঠ, যা বর্তমানে আছে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।
২০ একর জমির ওপর অবস্থিত এই সংশোধনাগার তৈরীতে খরচ পড়েছে ২৫০ কোটি টাকা। এই সংশোধনাগারের উদ্বোধন করা হবে নবান্ন থেকে। এই মুহূর্তে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ১৯৭১ জন আবাসিক আছে। এর মধ্যে ৬০০ জন দোষী। প্রাথমিকভাবে বারুইপুর সংশোধনাগারে ২০০ জন দোষী এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জন বিচারাধীন আবাসিককে এখানে থাকতে পারবেন।
যে সব বিচারাধীন আবাসিকদের ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর ও আলিপুর আদালতে বিচারের জন্য প্রায়ই নিয়ে যেতে হবে, তাদের এখানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বাকি আবাসিকদের প্রেসিডেন্সী, দমদম, হুগলী ও কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করা হবে।
এই নতুন সংশোধনাগারে সিসিটিভি এবং অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক নজরদারির যন্ত্র থাকবে। এখানে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন আবাসিকদের আলাদা রাখার বন্দোবস্ত থাকছে। তাদের আলাদা রান্নাঘর ও খাবার জায়গা থাকবে।
তমলুক ও কালিম্পঙেও নতুন সংশোধনাগার তৈরী করা হবে। আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে সমস্ত বন্দী স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার পর সেখানকার হেরিটেজ কাঠামোর ওপর সমীক্ষা চালাবে রাজ্য সরকার।