সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১১, ২০১৯

সম্প্রীতি সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

সম্প্রীতি সেতুর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

দুরত্ব প্রায় সাত কিলোমিটার। বজবজ ট্রাঙ্ক রোড ধরে গেলে গাড়িতে ঘণ্টাখানেক। সেই রাস্তা বরাবরই তৈরী হয়েছে রাজ্যের দীর্ঘতম উড়লপুল। তারাতলার জিঞ্জিরাবাজার থেকে বাটা মোড়ে পৌঁছনো যাবে মিনিট দশেকেই। সেই সম্প্রীতি উড়ালপুলে’র উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপকৃত হবেন গঙ্গাসাগরগামী মানুষও। এতদিন সাড়ে চার কিলোমিটারের ‘মা’ উড়ালপুলটিই ছিল রাজ্যের দীর্ঘতম।

এখন উড়ালপুল তৈরী হয়ে যাওয়ার পর নীচের বজবজ ট্রাঙ্ক রোডটিও মেরামত করবে কেএমডিএ। তার সুফল পাবেন এলাকার মানুষ।’ তারাতলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, বজবজে সিইএসসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম সংস্থার ডিপোরও সুবিধা হবে। বদলে যাবে এলাকার ছবিটাই।

কামালগাজি থেকে গোবিন্দপুর পর্যন্ত ইএম বাইপাসের সম্প্রসারণে আমূল বদলেছে কামালগাজি, নরেন্দ্রপুর, রাজপুর, বারুইপুরের মতো এলাকা। দু’ধারে গড়ে উঠছে অসংখ্য বড় আবাসন। সম্প্রীতি উড়ালপুল চালু হলে বজবজ, বাটা, মহেশতলা, পুজালির মতো পুর-শহর বদলে যাবে। এই সব পুর-এলাকার অন্তত ১০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।

বাম আমলে বা অন্য যে সরকারগুলো ছিল তারা একটা ইঁট পাতলে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলত। আর আমাদের সরকার ঘোষণা করার সাথে সাথে কাজে শুরু হয়েছে, দু থেকে আড়াই বছরের মধ্যে আমরা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়েছি। আজ সেতুর উদ্বোধন হল, কাল থেকে রাস্তার কাজ শুরু হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই প্রতিশ্রুতি যখন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার দিয়েছে, এক মাসের মধ্যে এই রাস্তার কাজ শেষ হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য আরও ১৮,০০০ কোটি টাকা দিয়েছি। ইতিমধ্যেই মা, কামালগাজি, দক্ষিনেশ্বর স্কাইওয়াক, ভিআইপি রোড সহ নানা উড়ালপুল তৈরী হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজও শুরু করেছিলাম।”

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দুই ও চার চাকার গাড়িকে টোল ট্যাক্স দিতে হবে না। সবজি বহনকারী ট্রাককেও টোল ট্যাক্স দিতে হবে না। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ চিরকাল সম্প্রীতির কথা বলেছেন। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই এই সেতুর নাম সম্প্রীতি রাখা হল।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাম আমলে বা অন্য যে সরকারগুলো ছিল তারা একটা ইঁট পাতলে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলত। আর আমাদের সরকার ঘোষণা করার সাথে সাথে কাজে শুরু হয়েছে, দু থেকে আড়াই বছরের মধ্যে আমরা কাজ সম্পূর্ণ করে দিয়েছি। আজ সেতুর উদ্বোধন হল, কাল থেকে রাস্তার কাজ শুরু হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই প্রতিশ্রুতি যখন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার দিয়েছে, এক মাসের মধ্যে এই রাস্তার কাজ শেষ হবে।”