জানুয়ারী ৩০, ২০১৯
আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করি: রামপুরহাটে মুখ্যমন্ত্রী

আজ বীরভূম জেলার রামপুরহাটে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি প্রকল্প সমূহের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। মঞ্চ থেকে বিভিন্ন পরিষেবাও প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:
বীরভূম আমাদের রাঙা মাটি। এই মাটিকে কেন্দ্র করে রবি ঠাকুর গান লিখেছিলেন, এখনও বাউলরা এখানে রাস্তায় গান গেয়ে বেড়ান। এই মাটি পবিত্র মাটি, রবি ঠাকুরের ভাবনার মাটি, চিন্তা ও দর্শনের মাটি। এখানে তারা মার মন্দির, শক্তিপীঠ আছে, ৫টা সতীপীঠ আছে।
আজ এই সভা থেকে ১০ হাজার মানুষকে সরকারি পরিষেবা তুলে দেওয়া হল, কয়েকদিন আগে আমি জয়দেবের মেলায় এসেছিলাম তখনও ১২ হাজার মানুষকে সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
বীরভূম জেলায় অনেক কাজ হয়েছে। তারাপীঠ উন্নয়ন কমিটি করেছে রাজ্য সরকার, উন্নয়নের জন্য কয়েক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রামপুর হাট উন্নয়ন পর্ষদ, প্রশাসনিক ভবন হয়েছে।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি তারাপীঠ স্টেশন করে তারাপীঠ দিয়েছিলাম মন্দিরের আদলে।
কাল আমি তারাপীঠের যাব কাজ পরিদর্শন করতে। তারাপীঠের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে।লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আসে, কেউ কোনোদিন এই জায়গার উনন্নয়ন করেনি।
৩০ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরী করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৯০% টয়লেট করে দেওয়া হয়েছে।
কমরেডরা ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারাপীঠে একটাও ইঁট গেঁথে দেখেছে মন্দিরটা ভালো করা যায় কি না, এখানে নতুন রাস্তা তৈরী করা যায় কি না?
সাংবাদিকদের জন্য মাভৈ প্রকল্প চালু করা হয়েছে, তাদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। এমনকি কেবল অপারেটরদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
একমাত্র বাংলায় বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া যায়। রামপুরহাট, সিউড়ি ও বোলপুরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প আছে আমাদের রাজ্য সরকারের। তপশিলি জাতি ও উপজাতির পড়ুয়াদের জন্য আমাদের শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ আছে। স্কুলের ছেলে মেয়েদের সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়া হয়।
কোনও গরিব মানুষ মারা গেলে, তার সৎকারের জন্য রাজ্য সরকার অর্থ সাহায্য করে। ২০০০ এর বেশী কবরস্থান আমরা সংস্কার করেছি। আমরা শ্মশানের সংস্কার করেছি।
১.৯৪ লক্ষ লোক শিল্পীকে লোক প্রসার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। বিজেপি ভোটের সময় বলবে আমাদের টাকা নাও আর আমাদের গান গাও। বিজেপি ৩৬৫ দিন পাশে থাকে না।
বাংলার সব সরকারি স্কুলের ছাত্রীই এখন কন্যাশ্রী। আমাদের কন্যাশ্রী এখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত।
১ কোটি ৭২ লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়া স্কলারশিপ পাচ্ছে। জেনারেল পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ চালু করেছে।
বাংলার সাড়ে আট কোটি মানুষকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, আয়লার ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল, চা বাগানের মানুষ ৪৭ পয়সা কিলো দরে চাল পায়।
আমরা মানুষকে যে স্বপ্ন দেখাই, তা বাস্তবে পরিণত করে দেখাই। ওরা বলে আমরা করব, করব মানে ভাঁওতা দেব।
দক্ষতা উন্নয়নে আমরা দেশের সেরা। সারা দেশে ২কোটি মানুষের চাকরি চলে গেছে। একমাত্র বাংলায় বেকারত্ব ৪০% কমেছে।
১০০ দিনের কাজে বাংলা দেশের সেরা। গ্রামীণ সড়ক তৈরীতে বাংলা দেশের সেরা। ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পে বাংলা দেশের সেরা। ই-গভর্ন্যান্সে দেশের সেরা বাংলা। পরপর পাঁচবার কৃষি কর্মন পুরষ্কার পেয়েছে বাংলা।
আগে বাংলা ছিল ২৫ নম্বরে, এখন বহু ক্ষেত্রে বাংলা ১ নম্বর স্থানে। ওরা বাংলাকে হিংসে করে।
আজ গান্ধীজির মৃত্যুদিবস। এই দিনটিকে আমরা সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করি।
নেতা সেই হয় যে মানুষের কথা বলে। নেতা কাজের মধ্যে দিয়ে তৈরী হয়। দাঙ্গা লাগিয়ে নেতা তৈরী হয় না। নেতা দেশের কাজ থেকে তৈরী হয়।
সত্যমেব জয়তে। সত্যের জন্য লড়ুন। আগামীদিনে বাংলাই সারা দেশকে পথ দেখাবে।