সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২৭, ২০১৯

খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার ‘সকলের জন্য খাদ্য’ নিশ্চিত করছে

খাদ্য সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার ‘সকলের জন্য খাদ্য’ নিশ্চিত করছে

রাজ্যের মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গত সাড়ে সাত বছরে বাংলার গণবন্টন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করেছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। গণবন্টন বলতে সাধারণত বোঝানো হয় গণবণ্টন কেন্দ্র এবং ন্যায্য মূল্যের দোকান (রেশন দোকান নামেই যার পরিচিতি বেশী)।

সদর্থক গণবণ্টন ব্যবস্থা রূপায়ণে রাজ্য সরকারের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাফল্যঃ

এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৮কোটি ৮২লক্ষ মানুষকে ডিজিটাল রেশনকার্ড প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭কোটি ৪২লক্ষ মানুষ ২টাকা কিলো দরে এবং ১কোটি ৪০লক্ষ মানুষকে বাজার দরের অর্ধেক দামে খাদ্য শস্য দেওয়া হয়েছে।

১৫টি আয়লা আক্রান্ত ব্লকের ৩লক্ষ ১২হাজার ৭১৮টি পরিবার প্রতিমাসে ১৬কিলো খাদ্য শস্য ২টাকা দরে পাচ্ছেন।

সিঙ্গুরের ৩৬১৯টি অনিচ্ছুক কৃষক পরিবার প্রতিমাসে ১৬কিলো খাদ্য শস্য ২টাকা দরে পাচ্ছেন।

পাহাড়ি এলাকার ৮লক্ষ ৭৫হাজার ৭০৩জন উপভোক্তা এবং জঙ্গলমহলের ৩৫লক্ষ ১১হাজার ১৮৬জন উপভোক্তা মাথাপিছু ১১কিলো খাদ্য শস্য প্রতিমাসে ২টাকা কিলো দরে পাচ্ছেন।

চা বাগানে বসবাসকারী সকল শ্রমিক ও অশ্রমিক পরিবার অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং প্রতিটি পরিবার ৩৫কিলো খাদ্য শস্য প্রতিমাসে ২টাকা কিলো দরে পাচ্ছেন।

আলিপুরদুয়ার জেলায় বসবাসকারী ১৩৯টি টোটো পরিবারের ১৫৭২জন উপভোক্তা সকলেই প্রতিমাসে ১১কিলো খাদ্য শস্য বিনামূল্যে পাচ্ছেন।

সারা রাজ্যে প্রায় ৬০০০জন অপুষ্টি আক্রান্ত শিশু ও তাদের মায়েদের প্রতিমাসে ৫কিলো করে চাল, ১কিলো করে মসুর ডাল, ২.৫কিলো করে গম বা পুষ্টিযুক্ত আটা এবং ১ কিলো করে ছোলা বিতরন করা চলছে।

উৎসব মরশুমে (ঈদ, রমজান, দুর্গোৎসব, কালীপুজো, দিওয়ালী ও ছটপুজো) ভোজ্য তেল, ছোলা, ময়দা, চিনি, রেশন দোকানের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা হয়।

খাদ্যসাথী প্রকল্পে ২০১৮-১৯ খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকার ১লা অক্টোবর থেকে কৃষক-ভাইদের নিবন্ধীকরণ এবং ১লা নভেম্বর থেকে ধান ক্রয় করা শুরু করেছে। সমবায় সমিতি বা ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে (CPC) ধান বিক্রী করলে পাবেন ক্যুইন্টাল প্রতি ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে ১৭৫০টাকা। ধান্য ক্রয়কেন্দ্রে (CPC) বিক্রী করলে ক্যুইন্টাল প্রতি বাড়তি ২০টাকা করে উৎসাহ মূল্য পাবেন এবং সাথে সাথে ধানের মূল্য চেকের মাধ্যমে নিয়ে নিন।

যথাযথ পুষ্টি প্রদানের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার গমের পরিবর্তে আটা প্রদান করেছে।

গত সাড়ে সাত বছরে খাদ্য মজুত ভান্ডার এবং ধারণ ক্ষমতা ১৫গুণ বাড়িয়ে ৯লক্ষ ৩৬হাজার মেট্রিক টন করা হয়েছে এবং আরও ৫লক্ষ মেট্রিক টন বাড়ানোর কাজ চলছে।

জেলা ও মহকুমা স্তরে ৫১টি নিজস্ব খাদ্য ভবন নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং আরও ১৪টি তৈরীর কাজ চলছে।

১২০টি চা বাগানে আদর্শ ন্যায্য মূল্যের দোকান তৈরী করে দেওয়া হয়েছে এবং আরও ৪৬টি তৈরীর কাজ চলছে।

খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য অত্যাধুনিক পরীক্ষাগার তৈরীর কাজ চলছে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগার ছাড়া ১৫টি জেলায় ১৫টি এবং আরও ৬টি (মেদিনীপুর, বর্ধমান, কৃষ্ণনগর, মালদহ, সিউড়ি ও শিলিগুড়ি) আঞ্চলিক পরীক্ষাগার নির্মাণ করা হবে।

রাজ্যে ধানের অভাবী বিক্রী বন্ধ হয়েছে। ২০১৭-১৮ খরিফ মরশুমে ৪লক্ষ ৬৭হাজার কৃষকের কাছ থেকে ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে ৩২লক্ষ ২৩হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।