জানুয়ারী ৬, ২০১৯
সাত কোটি চটের ব্যাগ কিনবে খাদ্য দপ্তর

পাট শিল্পকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে। এ বছর কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রকল্পে রাজ্যের প্রয়োজনীয় চাল কেনার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ চটের বস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সব বস্তাই এ রাজ্যের চটকলগুলি থেকে কেনারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সাত কোটি পাটের ব্যাগ কিনছে। জেসিআই-এর মাধ্যমে এই ব্যাগ কেনা হবে। তাদের বলা হয়েছে, রাজ্যের বাইরে থেকে কেনা যাবেনা। আমাদের রাজ্য থেকেই কিনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই এই পরিকল্পনা। বাঁচিয়ে রাখতে হবে কারখানাগুলো। চটের বস্তা কেনার জন্য রাজ্য এবার ১০০ কোটিরও বেশী টাকা বরাদ্দ করবে। এজন্য বিশেষ নজরদারি টিম তৈরী করেছি।
মন্ত্রী অভিযোগ করেন, অন্যান্য রাজ্য কেন্দ্র থেকে সব রকম সহযোগিতা পেলেও বাংলা বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে না।
চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে রাজ্য সরকার ও তার এজেন্সিগুলি সংগ্রহ করবে ৪৬ লক্ষ টন। বাকি ৬ লক্ষ টন সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে ফুড কর্পোরেশনকে। তারা যদি তা না পারে, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেটাও রাজ্যকেই করতে হবে। ৪৬ লক্ষ টনের জন্য প্রয়োজন হবে ৬ কোটি ৩৫ লক্ষ বস্তা। আর ৫২ লক্ষ টনের জন্য দরকার হবে সাত কোটি বস্তা।
অন্যদিকে, ধান সংগ্রহের কাজ আরও দ্রুতগতিতে করার জন্য খাদ্য দফতর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কৃষকদের হাতে ধান বিক্রীর টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য জেলা প্রতি এক লক্ষ ব্ল্যাঙ্ক চেক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই চেকগুলিতে কৃষক পিছু সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধানের দাম দেওয়া যাবে। ফড়েদের দৌরাত্ম্য কমাতেই এই কড়াকড়ি করা হয়েছে এবার।
মন্ত্রী জানান, ধান ক্রয়কেন্দ্রগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েতভিত্তিক আরও এক হাজার বিশেষ ধান সংগ্রহ শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই শিবিরগুলির জন্য কম্পিউটার জানেন এমন দু’হাজার অস্থায়ী কর্মীকে নিয়োগ করা হবে। এই কর্মীদের মাসে সাড়ে ১১ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে।