সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২৭, ২০১৯

এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরী করছে রাজ্য সরকার

এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরী করছে রাজ্য সরকার

শিল্পক্ষেত্রেই হোক কিংবা গার্হস্থ্য চাহিদা, উভয় ক্ষেত্রেই বেড়ে চলেছে বিদ্যুতের চাহিদা। বাংলাকে সব দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সকল উদ্যোগ নিয়েছেন, তারই ফল এই বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, আগামীদিনে বিদ্যুতের চাহিদা সমানে বাড়বে। এই চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে অচিরাচরিত শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাজ্য তৈরী করছে এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যান।

এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকার অচিরাচরিত উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এইরকম উদ্যোগ নিয়েছে। সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করলে দূষণ কম হবে।

দপ্তরের এক উচ্চাধিকারিক বলেন, এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে আগামী তিন বছরে রাজ্য সরকার পশ্চিমী দেশগুলির মত সেরা গুনমানের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে।

জলবিদ্যুতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য সরকার একগুচ্ছ নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তীস্তা নদীতে তীস্তা-১, তীস্তা-২, তীস্তা-৫, তীস্তা ইন্টারমিডিয়েট স্টেট এবং রাম্মাম স্টেজ-১ (দার্জিলিঙের রাম্মাম নদীতে) জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করা হচ্ছে। প্রতিটির ক্ষমতা ৮০ থেকে ৮৪ মেগাওয়াটের মধ্যে।

সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে বাংলা ইতিমধ্যেই অনেক উন্নতি করেছে। সরকারি কার্যালয়ের, স্কুলের, কলেজের ছাদে সোলার প্যানেল লাগিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। জোয়ারের জল, বায়ু থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য।

এই ক্ষেত্রে একটি সমস্যা হল নবীকরণযোগ্য উৎস থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ গ্রীডে সঞ্চয় করা। গ্রীডে যতক্ষণ না এই বিদ্যুৎ সঞ্চয় করা যাচ্ছে, বড় মাত্রায় এই বিদ্যুৎ ব্যবহার সম্ভব হবে না। এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে।

নবীকরণযোগ্য উৎস থেকে বাংলা আনুমানিক ৭১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের লক্ষ্য, আগামী দু বছরের মধ্যে এই উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ১৭৫ গিগাওয়াটে নিয়ে যাওয়া।

এই বেড়ে চলা বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গত পাঁচ বছরে কয়েকশো সাবষ্টেশন তৈরী করা হয়েছে রাজ্যে। শুধু গত এক বছরেই ১০টি হাই ভোল্টেজ সাবষ্টেশন তৈরী করা হয়েছে। কয়েকটি ২২০ কিলো ভোল্টের সাবস্টেশন তৈরী করা হচ্ছে।