সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১০, ২০১৯

সাগরমেলায় নজরদারিতে ১২ ড্রোন, ৭০০ সিসিটিভি, ভেসেলে জিপিএস

সাগরমেলায় নজরদারিতে ১২ ড্রোন, ৭০০ সিসিটিভি, ভেসেলে জিপিএস

প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় সাগরদ্বীপে। গত কয়েক বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার সাগরদ্বীপে পরিকাঠামো উন্নয়নে নিয়েছে অনেক উদ্যোগ। পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য নেওয়া হয়েছে অনেক পদক্ষেপ। এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে সাগরদ্বীপ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলাশাসক মেলা উপলক্ষে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন। নজরদারিতে থাকবে ১২টা ড্রোন। জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে ভেসেলের গতিপ্রকৃতি জানা যাবে। নোংরা আবর্জনা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলতে ৪০টি ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৭০০টি সিসি টিভি থাকছে। এছাড়া থাকছে এলইডি টিভি। মেগা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২২০ কিলোমিটার জুড়ে মেটালিক ব্যারিকেড করা হয়েছে। অস্থায়ী ঘরে লাগানো হচ্ছে অগ্নিনিরোধক রাসায়নিক। বাস, জলযানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১২টি স্যাটেলাইট মোবাইল থাকছে। সবকিছুর ওপর নজর রাখতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।

সাগরমেলা এবং বাবুঘাটে পুণ্যার্থীদের ছবি সরাসরি নবান্নে বসেই দেখা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থী, সাধুরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন। বেণুবনে দ্বিতীয় জেটি করা হয়েছে। কপিলমুনির আশ্রম সাজানো হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকরা মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকবেন। চিকিৎসকের পাশাপাশি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পোর্টেবল আলো প্রচুর পরিমাণে রাখা হয়েছে। রুদ্রনগর এবং কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভূগর্ভস্থ লাইন বিছানো হয়েছে যাতে কোনও আপতকালীন পরিস্থিতিতে ডিজি সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুতের যোগান দেওয়া যায়।

সৌজন্যেঃ আজকাল