সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২৩, ২০১৯

সবাইকে নিয়ে যে চলতে পারে সেই দেশের নেতা: নেতাজীর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

সবাইকে নিয়ে যে চলতে পারে সেই দেশের নেতা: নেতাজীর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

২০১৪ সাল থেকে রাজ্য সরকার সরকারি ভাবে প্রতি বছর ২৩শে জানুয়ারি দার্জিলিঙে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী পালন করে।

দার্জিলিঙে নেতাজী বেশ কিছুদিন থেকে ছিলেন। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন সরকারিভাবে রাজ্যস্তরের ‘সুভাষ উৎসব’ পাহাড়ে অনুষ্ঠিত করার।

নেতাজীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে বসে আঁকো, প্রবন্ধ লেখার প্রতিযোগিতা, পদযাত্রা, প্রদর্শনী, ক্যুইজ ও বিতর্কসভার আয়োজন করা হয়েছে যুব কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে।

নেতাজী পাহাড়ে যে বাড়িতে থাকতেন তা সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে এবং নেতাজীর ফাইলও প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার।

আজ দার্জিলিঙে নেতাজীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু বিষয়ঃ

১৯৩৬ সালে নেতাজি কার্শিয়াঙ থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন চালিয়েছিলেন তাই আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দার্জিলিঙে এসে পাহাড়বাসীর সঙ্গে একসাথে নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিই।

কলকাতাতেও আমরা পালন করছি, ওখানে আমাদের সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীরা আছেন

জয়হিন্দ ধ্বনি সুভাষ চন্দ্র বোসের, বন্দেমাতরম বাংলার বঙ্কিম চন্দ্রের লেখা, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা

দেশের সংকটে বাংলাই সর্বদা পথ দেখায়। বাংলার মাটিতেই প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়

সুভাষ চন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি গঠন করেছিলেন, সেখানে নেপালিদের গোর্খারা ভাগ নিয়েছিলেন। সুভাষ চদ্র বোস প্ল্যানিং কমিশন গঠন করেছিলেন

সবাইকে নিয়ে যে চলতে পারে, যে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে, সেই দেশের নেতা

যে নেতা দেশকে টুকরো করে সে দলের নেতা, সে কখনোই দেশের নেতা হতে পারে না

যারা দেশের মধ্যে ভাগাভাগি করে, মানুষের মধ্যে বিভেদ করে তাদের আমরা দেশের নেতা মানি না

একটা কাজও করে না ওরা, পাহাড়ের কোন উন্নয়ন করেনি, ভোট এলেই শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়, ভোটের পর সব ভুলে যায়

নেতাজির জন্মদিনে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখনও জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেনি, এটা দুঃখের বিষয়

স্বাধীনতার এতো বছর পর আজও নেতাজির মৃত্যু রহস্যজনক, এটা দুঃখের বিষয়, লজ্জার বিষয়

শিলিগুড়িতে পাহাড়ি ভবন হচ্ছে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও করা হয়েছে, পাহাড়ের ভাইবোনেদের ভাল রাখার জন্য যা যা করার দরকার সব কাজ আমরা করব। লোকসভা ভোটার পর জিটিএ চুক্তির আলোচনা হবে

আমরা ১৬টি উন্নয়ন বোর্ড বানিয়েছি, ৬২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে

আমরাই প্রকৃত উন্নয়ন করি, পাহাড়ের উন্নয়ন আমাদের প্রাথমিক কাজ