সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ২১, ২০১৯

উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ শিলিগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বার্ষিক উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৩শে জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে তিনি দার্জিলিং-এ উপস্থিত থাকবেন।

প্রতি বছর উত্তরবঙ্গ উৎসব উদযাপন করা হয়। এই উৎসবে আট জেলার স্থানীয় শিল্পী ও লোকশিল্পীদের শিল্প তুলে ধরা হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সাল থেকেই আমরা উত্তরবঙ্গ উৎসব পালন করি। এই আট জেলার সম্মানীয় ব্যক্তিদের, মাটির মানুষদের এক জন করে আমরা বঙ্গরত্ন পুরস্কার দিই।

আগে উত্তরবঙ্গে কেউ আসত না। আমি ২-৩ মাস অন্তর এখানে আসি, প্রশাসনিক বৈঠক করি, যা আগে ছিল না।

উত্তরকন্যা সচিবালয় তৈরি হয়েছে, কয়েকদিন আগে ভোরের আলো উদ্বোধন হয়েছে। নতুন ফ্লাইওভার হয়ে গেলে ৪৫ মিনিটে বাগডোগরা থেকে ভোরের আলোয় পৌঁছানো যাবে।

শিলিগুড়ির মানুষের ট্রাফিকের খুব সমস্যা, নতুন রাস্তা হচ্ছে এর ফলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে।

বাংলার সংস্কৃতিতে নতুন প্রাণ এসেছে। এই উত্তরবঙ্গ উৎসবে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ আসবেন। উত্তরবঙ্গ আমার ভালো বাসার মাটি।

আমাদের সরকার কামতাপুরি, রাজবংশী, নেপালি, উর্দু, হিন্দি ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ।আরো ২টি হিন্দি কলেজ হবে, হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির পরিকল্পনাও চলছে।

দার্জিলিঙে হিল ইউনিভার্সিটি হচ্ছে, কার্শিয়াঙে শিক্ষা হাব হচ্ছে, আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ তৈরি হয়ে গেছে কিন্তু উদ্বোধন হচ্ছে না দিল্লির কারণে। ওরা রাজনীতি করে কিন্তু কাজ করে না।

উত্তরবঙ্গের মালদায় বিমানবন্দর হচ্ছে। বালুরঘাট, কোচবিহারেও বিমান পরিষেবা চালু হবে।

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তরবঙ্গ যা চেয়েছে আমি প্রাণ ঢেলে দিয়েছি, ক্ষমতায় আসার পরেও আমরা অনেক উন্নয়নের কাজ করেছি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর করা হয়েছে।

আমি চাই কন্যাশ্রীর মেয়েরা মাথা তুলে দাঁড়াক। তাদের পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ও করে দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ২ লক্ষ লোকশিল্পীকে ১০০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ আমার দুই ভাই বোন। আপনাদের সাহায্যের জন্য আমি বারবার এখানে ছুটে আসি। দিল্লিতে গিয়ে দরবার করার দরকার নেই, যা দরকার আমরা সব করে দেব।

আপনারা ভালো থাকুন শান্তিতে থাকুন। আমরা চাই পাহাড়ের মানুষ ভালো থাকুক, শান্তিতে থাকুক। আমরা উন্নয়নের রাজনীতি বিশ্বাস করি।

অনেক কাজ হয়েছে, আরো কাজ করা হবে, যথাসাধ্য মতো করা হবে, প্রচেষ্টার কোন ঘাটতি থাকবে না।

২০১৯ আপনাদের সকলের জীবনে খুশির বার্তা, ভোরের আলো নিয়ে আসুক।