সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১০, ২০১৯

নদিয়ায় কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নদিয়ায় কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ-

  • এখানে উপস্থিত সকলকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজকের মেয়েরা যারা আগামীদিনে দেশ গড়বে, রাজ্য গড়বে, সরকার গড়বে, বিশ্ব গড়বে তাঁদের অভিনন্দন জানাই।
  • আজ কন্যাশ্রী বিশ্বশ্রী। কন্যাশ্রীর নামে আমাদের রাজ্যে কন্যাশ্রীর মেয়েদের পড়ার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়া হল। এখানে পড়তে গেলে কোনও টাকা লাগবে না। কারণ, এখন সব সরকারি স্কুল কলেজের ছাত্রীরাই কন্যাশ্রী। কন্যাশ্রীর মেয়েরা আমাদের গর্ব।
  • নবম শ্রেণী থেকে এখন সকলকে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১কোটি সবুজ সাথীর সাইকেল বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।
  • মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেক দিনের দাবী মেনে আগামী কাল বারাসাত থেকে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় এর শিলান্যাস করব। গাইঘাটায় যে বিশ্ববিদ্যালয় হবে, তার একটা ক্যাম্পাস আমরা কৃষ্ণনগরেও করব।
  • এই জেলায় আজ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি আইটি পার্ক উদ্বোধন করা হল। এতে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। কল্যানীতে ফ্লিপকার্ট আসছে, সেখানে আরও ১০ হাজার ছেলেমেয়ে সরাসরি চাকরি পাবে এবং পরোক্ষভাবে আরও অনেকের কর্মসংস্থান হবে।
  • নবদ্বীপ হেরিটেজ টাউন এবং মায়াপুর হেরিটেজ টাউন তৈরী হবে। নতুন সিটিও তৈরী হবে। ১১০০ কোটি টাকা খরচে কালনা থেকে শান্তিপুর পর্যন্ত একটা ব্রীজ তৈরী করা হচ্ছে। কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচে নদীয়া জেলা সংযোগকারী অনেক চার লেনের রাস্তা তৈরী করা হচ্ছে।
  • নদীয়া জেলায় মসলিন তীর্থ, তাঁত তীর্থ, চারটি কলেজ, চারটি পলিটেকনিক কলেজ, ১০টি আইটিআই কলেজ তৈরী হয়েছে। এই জেলার গবেষকদের আমরা সাহায্য করি। এই জেলায় ১০০ শতাংশ কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে।
  • রাজ্য সরকার কৃষি জমির খাজনা, মিউটেশন ফি মুকুব করে দিয়েছে। শস্যবীমার টাকা রাজ্য সরকার কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেয়। কৃষকদের জন্য কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খোলা হয়েছে। প্রতি বছর একর পিছু ৫ হাজার টাকা দু ভাগে সরকার দেবে, যাদের জমি ১ একরের কম তারা আনুপাতিক টাকা পাবে, সর্বনিম্ন ১হাজার টাকা পাবে কৃষকরা। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত যদি কোনও কৃষক বা ক্ষেতমজুর মারা যান, তার পরিবার ২ লক্ষ টাকা করে পাবেন।
  • এছাড়াও ধান দিন চেক নিন প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। ধানের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ক্যুনিটাল প্রতি ১৫৫০টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭৫০টাকা করা হয়েছে এবং আপনি সরকারি কেন্দ্রে এসে বিক্রী করলে আরও ২০টাকা করে ক্যুইন্টাল প্রতি দেওয়া হবে।
  • কল্যানীতে এইমস তৈরী হচ্ছে। কল্যানীতে আইআইআইটি তৈরী হয়েছে। প্রচুর শিল্প তৈরী হচ্ছে। সব কিছু আমরা করে দিয়েছি। আগামীদিন আরও করে দেব। মনে রাখবেন এদের মিথ্যা কথার বিরুদ্ধে আপনাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে সতর্ক থাকতে হবে।
  • আমাদের রাজ্যে একটা বাচ্চা জন্মালেই আমরা একটা গাছ দিই। যে গাছটা ১৮ বছর বাদে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা দাম হবে। আমরা শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ দিই তপশীলিদের, আদীবাসিদের। আমরা সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ দিই। এক কোটি ৭১ লক্ষ ছেলে মেয়েদের দিয়েছি। আমরা এক নম্বরে আছি আমাদের পারফরমেন্সে। ওরা টাকা দেয়না অর্ধেক টাকা কেটে নেয়। আমরা বলেছি এবার থেকে আমরা নিজেরা একাই করব, ওদেরকে করতে হবেনা।নতুন সরকার আসলে আমরা চেষ্টা করব রাজ্য যেন বঞ্চিত না হয়। রাজ্যের অধিকারে কেন্দ্র যেন নাক না গলায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো যেন শক্তিশালী হয়। ভারতবর্ষের সংবিধান যেন রক্ষিত হয়। একটা যেন রক্ষিত হয়। সবাই যেন ভালোভাবে বসবাস করতে পারে। আমার ছোট ছোট ভাই বোনেরা যাদের ১০ বছর বয়স, ১৫ বছর বয়স, যাদের ১৮ বছর বয়স কারও ২০ বছর বয়স কারও ২২ বছর বয়স কারও ৪০ বছর বয়স তারা যেন পড়ে পড়ে মার না খায়। তারা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। মেয়েরা গর্ব করে যেন বলতে পারে আজকে মায়ের কাছে বোঝা নয়।
  • কন্যাশ্রী ছাড়াও রূপশ্রী করে দেওয়া হয়েছে। গরীব পরিবার তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে না পারলে ২৫,০০০ টাকা করে সরকার দিচ্ছে। এমনকি কবরস্থানের প্রাচীর গুলোও বাধিয়ে দেওয়া হয়েছে। শশ্মান ঘাট গুলোও বাধিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে কোনওদিন হয়নি।
  • নদীয়া জেলা চৈতন্যদেবের জেলা, শান্তির জেলা, নবদ্বীপ ধাম শান্তির ধাম, কৃষ্ণনগরের মাটি কি সুন্দর পোড়ামাটির কত কাজ হয়, মাটির কাজ হয় যার জন্য এখানে মৃত্তিকাও তৈরী করে দিয়েছি।
  • এখানকার তাঁত, এখানকার মসলিন, এখানকার লিনেন, এখানকার তাঁতিরা, এখানকার তাঁতশিল্পীরা, এখানকার লোকশিল্পীরা, এখানে চাষ- সব কিছুই বিখ্যাত। এমনকি নদিয়ার যে মিষ্টি- সরভাজা পাওয়া যায়, সেই সরতীর্থও আমরা তৈরী করছি। যেমন শক্তিগড়ের ল্যাংচাতীর্থ হয়েছে, এখানেও সরতীর্থ আমরা তৈরী করছি।
  • নির্বাচন আসলেই মিথ্যে কথায় পা দেবেন না, কুৎসায় পা দেবেন না, নিজেদের মধ্যে কোনও দাঙ্গায় যাবেন না। এরা নির্বাচনের সময় হিন্দু-মুসলমান ভাগাভাগি করে, তপশিলি- আদিবাসীতে ভাগাভাগি করে, মা-মেয়েতে ঝগড়া লাগায়, ছেলে-মেয়েতে ঝগড়া লাগায় ও প্রচুর টাকা নিয়ে রাস্তায় নামে।
  • সামনেই পিঠে-পুলির উৎসব আসছে। রাস উৎসব হয়ে গেছে, শুভ নববর্ষ হয়ে গেছে, অন্যান্য উৎসবগুলো হয়ে গেছে। আগামীদিন আসবে পিঠে পুলির উৎসব মকর সক্রান্তি। আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে যাই।