সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ৭, ২০১৯

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেননি: ফালাকাটায় অভিষেক

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করেননি: ফালাকাটায় অভিষেক

আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে আজ আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা টাউন ক্লাব মাঠে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “এই ব্রিগেড চলো সমাবেশের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য, প্রাসঙ্গিকতা, গুরুত্ব, যথার্থতা আছে। এই ব্রিগেড সমাবেশে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা নন, উপস্থিত থাকবেন দিল্লীর আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আরজেডি দলের তেজস্বী যাদব, ডিএমকের এম কে স্ট্যালিন, টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু, জম্মু কাশ্মীরের ওমর আব্দুল্লাহ, ফারুক আব্দুল্লাহ, লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শরদ যাদব, ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টির শরদ পাওয়ার, শত্রুঘ্ন সিনহা, যশোবন্ত সিনহা, রাম জেটমালানি সহ অনেকেই আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে।”

তিনি আরও বলেন, তৃণমূল একমাত্র দল যারা বিজেপির ধমকানি চমকানি সহ্য করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মসমর্পণ করেননি।

“প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালে মাদারিহাটে সভা করতে এসে চা বাগান নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার পড়ে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আলিপুরদুয়ার মহকুমাকে জেলার স্বীকৃতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝকঝকে রাস্তাঘাট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সরকারের প্রকল্প আছে রাজ্য সরকারের। এটাই তাদের আর আমাদের তফাৎ। নেত্রী কথা দিয়েছিলেন, চা বাগান অধিগ্রহণ করবে, শ্রমিকের স্বার্থে কাজ করবে, আমরা করেছি,” বলেন সাংসদ।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির করুন পরিণতি হয়েছে। যে বিজেপি নিজেদের হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক বলে দাবী করত, এই তিন রাজ্যে ৯২ শতাংশের ওপর হিন্দু, তারাই বিজেপিকে কুপোকাত করে দিয়েছে।

রাজ্য সরকার যেমন হিন্দু ধর্মের জন্য কাজ করেছে, ইসলাম ধর্মের জন্য কাজ করেছে, আমরা বৌদ্ধ ধর্মের জন্য করেছি, শিখ ধর্মের জন্য করেছি, খৃস্টানদের জন্য কাজ করেছি, ঈশাইদের জন্য কাজ করেছি, জৈনদের জন্য করেছি, জানান অভিষেক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি কর্ম নিয়ে, তাদের রাজনীতি ধর্ম নিয়ে। আমাদের রাজনীতি চাকরী নিয়ে, তাদের রাজনীতি বাবরি নিয়ে। আমাদের রাজনীতি ভাত নিয়ে, তাদের রাজনীতি জাত নিয়ে। আমাদের রাজনীতি বস্ত্র নিয়ে, তাদের রাজনীতি অস্ত্র নিয়ে। আমাদের রাজনীতি কর্মসংস্থান নিয়ে, তাদের রাজনীতি কবরস্থান নিয়ে। এই হচ্ছে, বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে পার্থক্য।

“ডাক দিয়েছে দিদি মমতা, ব্রিগেড চলো জনতা”, “ছাত্র-যুব আওয়াজ তোলো পায়ে পায়ে ব্রিগেড চলো’,”পায়ে পায়ে উড়িয়ে ধুলো,শ্রমিক-কৃষক ব্রিগেড চলো”, “ডাক দিয়েছে তৃণমূল, ব্রিগেড চলো সাধারণ মানুষ” – এরকম নানা স্লোগানের মাধ্যমে জনতাকে উজ্জীবিত করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে আগামী ১৯শে জানুয়ারী ব্রিগেডে যাওয়ার আহ্বান জানান।