জানুয়ারী ২৪, ২০১৯
দেশে, বিদেশে বন্দিত বাংলার কন্যাশ্রী

২০১৩ সালে ১লা অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার শুরু করে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের সূচনা হয় মূলত ছাত্রীদের স্কুল ছুটের হার কমাতে ও নাবালিকা বিবাহ রুখতে। এখনও পর্যন্ত ৫০ লক্ষ কন্যা এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফলে বিপুল ভাবে কমেছে মেয়েদের স্কুল ছুটের হার। অষ্টম শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বার্ষিক ১০০০ টাকা করে ভাতা ও দ্বাদশ শ্রেণীর পর উচ্চ শিক্ষা বা কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য এককালীন ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হয় মেয়েদের। এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরও।
এই প্রকল্পের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা বোঝা যায় এই প্রকল্পের জন্য সরকারের বিপুল পরিমাণ বাজেট দেখে। নারী ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের অন্তর্গত এই প্রকল্পের জন্য গত পাঁচ বছরে রাজ্য সরকার ব্যয় করেছে ৫,০০০ কোটি টাকা। তুলানামুলক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে সারা দেশের জন্য বরাদ্দ করে মাত্র ৬০০ কোটি টাকা।
কন্যাশ্রী প্রকল্প মেয়েদের স্বনির্ভর হতে শেখায়, তাই দেশ-বিদেশে পেয়ে চলেছে স্বীকৃতি। ২০১৪ সালে Department for International Development, UK এবং UNICEF-এর উদ্যোগে লন্ডনে Girl Summit 2014 তে এই প্রকল্পকে ‘best practices’ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়।
South Asia এবং Asia Pacific অঞ্চলে ‘Women and Empowerment’ বিভাগে ই-গভরনেন্সের জন্য এই প্রকল্প পায় Manthan Award 2014।
জাতীয় স্তরে ‘Outstanding Performance in Citizen-Centric Service’ বিভাগে ই-গভর্নেন্সের জন্য ২০১৪-৫ সালে পায় দ্বিতীয় পুরস্কার।
২০১৭ সালের জুন মাসে বাংলার এই প্রকল্প ৬২টি দেশের ৫৫২টি সামাজিক প্রকল্পকে হারিয়ে নিয়ে আসে সেরার সম্মান রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে।
রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতাই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের কারণ।