সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১৬, ২০১৯

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জঙ্গলমহলে পর্যটকদের ঢল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জঙ্গলমহলে পর্যটকদের ঢল

বাম আমলে জঙ্গলমহল ছিল অশান্ত, রক্তস্নাত। বর্তমানের জঙ্গলমহলে সাথে আকাশ পাতাল তফাৎ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক উদ্যোগে জঙ্গলমহলে ফিরেছে শান্তি। সেখানে তৈরী হয়েছে নানা পর্যটন সার্কিট। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পর্যটন সার্কিটে এখন সারা বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে যান।

ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বিস্তৃত জঙ্গলমহল পর্যটন সার্কিটকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে শুধু যে সেখানে পরিকাঠামোর সংস্কার করা হচ্ছে তা নয়, বেসরকারি বিনিয়োগের আবেদনও করা হচ্ছে। গড়ে উঠেছে কেবল কার, হেরিটেজ হোটেল ও লজ সহ নানা পরিকাঠামো।

রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদ বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজও নিয়ে এসেছে পর্যটকদের জন্য। এই প্যাকেজে পর্যটকদের ঝাড়গ্রাম জেলার সেই সব অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যেখানে পর্যটকরা কম যান – যেমন বেলপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোর ইত্যাদি।

বন দপ্তর ঝাড়গ্রামে একশো হোমস্টের ব্যবস্থা করেছে। জঙ্গলে ভরা ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন ও হোমস্টের বিপুল সম্ভাবনা আছে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে রাজ্য সরকার। কাঁকড়াঝোরে ট্রেকিং ও অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন শুরু করা হচ্ছে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি জায়গার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে – কেশিয়ারি ব্লকের গগনেশ্বর গ্রামের করমবেড়া দুর্গ, শালবনি ব্লকের কর্ণগড় এবং গড়বেতা ব্লকের গনগনি।

প্রাচীন স্থাপত্য এবং মোগল আমলের ছাপ দেখা যায় করমবেড়া দুর্গে। কর্ণগড় বিখ্যাত পাথুরে কেল্লার ধ্বংসাবশেষ খুবই আকর্ষণীয়। মহাভারতের কর্ণ এক সময় এই অঞ্চলে রাজত্ব করতেন এবং সেই থেকেই নাম হয়েছে এই অঞ্চলের।

গনগনি বিখ্যাত প্রাকৃতিক ক্যানিয়নের জন্য। শিলাবতী নদীর পাড়ের লাল মাটির তটও বিখ্যাত। এই ক্যানিয়ন স্থানীয় অঞ্চলে গনগনি দাঙ্গা বা গনগনি খোলা হিসেবে বিখ্যাত।