সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ৭, ২০১৯

নতুন বছরের গোড়াতেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা

নতুন বছরের গোড়াতেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা

নতুন বছরের গোড়াতেই হাওড়া, হুগলী ও বীরভূম জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে সেচ দপ্তর। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ২৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ধাপে সমগ্র পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা হবে।

আমতা ২ নং ব্লকে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীবাঁধ মেরামতি সহ চারটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেচমন্ত্রী একথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাঙ্কের বরাদ্দ টাকায় ৩টি জেলায় তিনটি ধাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই কাজ শেষ হলে একদিকে যেমন বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, চাষের জন্য কৃষকদের জল সঙ্কটও অনেকটাই মেটানো যাবে।

সেচমন্ত্রী বলেন, শর্টকাট চ্যানেল সংস্কারের ফলে প্রায় ৩০ হাজার কিউসেক জলধারণ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার কারণেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে ইচ্ছে থাকলেও কার্যকর করতে পারছি না। গত সাড়ে ৭ বছরে রাজ্যে প্রায় ৫ লক্ষ পুকুর খনন করে তাতে মাছ চাষ করা হচ্ছে।

সেচমন্ত্রী ১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রূপনারায়ণের বাঁদিকে পাড়ের ৬০০ মিটার এলাকায় ভাঙনরোধের কাজ, ৯৬ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে খালনা কাশমলি গ্রাম পঞ্চায়েতে শর্টকাট ডাইভারসন খালের উপর বাঁধের ভাঙনরোধী কাজ, ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে ডাইভারসন খালের উভয় দিকে বাঁধের উপর ১৯.৯০ কিমি মোরাম রাস্তার পুনর্নির্মাণ এবং ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গাইঘাটা খালের বাম পাড়ের ৫০০ মিটার এলাকায় ভাঙনরোধী কাজের সূচনা করেন।

সৌজন্যেঃ বর্তমান