জানুয়ারী ৩, ২০১৯
শীঘ্রই রাজ্যে চালু হবে আরও পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ

আবারও রাজ্যবাসীদের জন্য সুখবর, বিশেষ করে ডাক্তারি নিয়ে পড়তে আগ্রহী পড়ুয়াদের। খুব শীঘ্রই রাজ্যে চালু হবে আরও পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। গত সাত বছর ধরে রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যে আমুল পরিবর্তন হয়েছে, তারই সূত্র ধরে আবারও এই সুখবর।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক উচ্চাধিকারিক জানান, এই পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে ৫০০টি স্নাতক স্তরের আসন থাকবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পড়ুয়ারা এখানে ভর্তি হতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ হল ডায়মন্ড হারবার, পুরুলিয়া, রামপুরহাট, রায়গঞ্জ ও কোচবিহার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালে এই পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরীর কথা ঘোষণা করেন। এই কলেজগুলিতে অত্যাধুনিক সমস্ত পরিকাঠামো থাকবে। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ৩০০ থেকে ৫০০ শয্যা থাকবে।
সম্প্রতি মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা এই পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন ও সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন।
খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য দপ্তর আরও চারটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরীর জন্য টেন্ডার প্রকাশ করবেন। এই মেডিক্যাল কলেজগুলি হবে ঝাড়গ্রাম, তমলুক, বারাসাত ও আরামবাগে। এই কলেজগুলির নির্মাণ আগামী বছরে শুরু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর শুধু যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে জোর দিয়েছেন তাই নয়, স্বাস্থ্য শিক্ষাতেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নতুন মেডিক্যাল কলেজ তৈরীর পাশাপাশি মহকুমা হাসপাতালগুলির উন্নতিকরনের দিকেও নজর দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য দপ্তর ইতিমধ্যেই ৪০টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরী করেছে। এর ফলে, রাজ্যবাসী, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে, উন্নতমানের চিকিৎসা পাচ্ছেন।
স্নাতক এবং স্নাতোকত্তর স্তরে কীভাবে মেডিক্যাল আসন বাড়ানোর প্রতিও নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু ডাক্তার নয়, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য আধিকারিক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের অভাব কমাতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি।