সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১৪, ২০১৯

কন্যাশ্রীর ফলে কমেছে মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা

কন্যাশ্রীর ফলে কমেছে মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা

আজ নবান্ন সভাঘরে শিক্ষাক্ষেত্রে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি জানান যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফলে মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের হার কমেছে অনেকটাই। রাজ্যে শিক্ষা পরিকাঠামোও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে গত সাত বছরে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যর কিছু অংশ:

বাংলায় আমরা আসার আগে ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আর এই সাড়ে-৭ বছরে আমরা ২৮ টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, এবং আরও ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল পাস হয়ে গেছে, শিঘ্রই তৈরী হবে। সুতরাং এটা একটি অভুতপুর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

এছাড়া আমাদের এখানে ৫০টা নতুন কলেজ হয়েছে। আমাদের রাজ্যে বাচ্চাদের স্কুলে মিড-ডে মিল আমরা ১০০% অন্তর্ভুক্ত করি। মেয়েদের স্কুলে শৌচালয় প্রায় ৯৯.৯৫% হয়ে গেছে; বাদবাকি যেটুকে আছে সেটা করার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমাদের সময়ে আমরা অতিরিক্ত ১.৮ লক্ষ ক্লাস-রুম তৈরী করেছি। এছারাও প্রায় ৭০০০ প্রাইমারি ও আপার-প্রাইমারি স্কুল আমরা তৈরী করেছি।

ছাত্র ভর্তির সংখ্যা যদি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেন, আমাদের সময়ে, ১৩ লাখ থেকে বেড়ে ২০ লাখ হয়ে গেছে। ছাত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে ৭৩%, এটা আমাদের গর্ব করা উচিত। ৫.৬২ লাখ থেকে বেড়ে ৯.৭৪ লাখ হয়েছে, যেটা কণ্যাশ্রীর অবদান।

কণ্যাশ্রী হওয়ার ফলে আমাদের ছাত্রীদের স্কুল-ছুট হওয়ার হার একদম কমে গেছে এবং তারা এখন স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরো স্কলারশিপ পাচ্ছে, পড়াশুনার মান বাড়ছে এবং অনেক কণ্যাশ্রীর মেয়েরা তো ফার্স্ট-ক্লাস ফার্স্ট-ও হয়েছে। তারা এখন ভাটনগর পুরস্কারও পেয়েছে এবং নাম করছে, সেটা আমাদের খুবই গর্ব করার মত বিষয়।

আমাদের জেলায় জেলায় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আছে, তার জন্যে আমরা আজকে একটা কমিটি করেছি। তাতে শিক্ষামন্ত্রী, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সচিব, যাদবপুর, কলকাতা এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা থাকবেন। যেমন সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় একটি গ্রামের স্কুল-কে দত্তক নিয়েছে, সেরকম এই নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বলা হয়েছে যে জেলার বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে নানাভাবে সাহায্য করতে। নিজেদের মত করে দত্তক নিয়ে যদি করে, তাহলে তারাও খুব লাভবান হবে। এ ব্যাপারে এই কমিটি আমাদের রিপোর্ট দেবে।

এছারাও আমাদের এখানে হিন্দি, উর্দু কলেজ করা হয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না আমরা নতুন করে করছি। আমরা আরোও দুটো করে হিন্দি ও উর্দু কলেজ চালু করব। অলচিকি ভাষায় পঠন-পাঠন একাদশ শ্রেণী অবধি চালু হয়ে গেছে, দ্বাদশ শ্রেণীর সিলেবাস তৈরী হচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যান্য ভাষার মধ্যে রাজ ভাষায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। যাতে পাঠ্য বই ওই ভাষায় হয়, তার কাজ সিলেবাস কমিটি করছে।

পার্ট-টাইম শিক্ষকদের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বিষয়ে এক সেটের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অন্যদের জন্য হচ্ছে। প্যারাটিচারদেরও বেতন অনেকটা বাড়ানো হয়েছে, প্রকল্পও তৈরী হয়েছে তাদের জন্য।

ইউজিসি অনেক জায়গায় টাকা দিচ্ছে না, অনেক অভিযোগ আসছে। গবেষকদের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের রাজ্য সরকার টাকা দিচ্ছে। টাকা তো দিচ্ছেই না, উপরন্তু রোজ একটা করে নতুন ফতোয়া জারি করছে কেন্দ্র – এই করতে হবে, সেই করতে হবে।