জানুয়ারী ১৯, ২০১৯
ব্রিগেড সমাবেশের পরই ইভিএম নিয়ে কমিটি গঠন বিরোধী দলগুলির

আজ ব্রিগেডের মহাসমাবেশের পর সৌজন্যে সকল বিরোধী নেতার সাথে চা চক্রে মিলিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যারা ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি খসড়া তৈরী করবেন। এই কমিটিতে থাকবেন অখিলেশ যাদব, সতীশ মিশ্র, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অভিষেক মনু সিংভি। কমিটির খসড়া অনুযায়ী বাকি দলগুলিও একসঙ্গে চিঠি লিখে আবেদন করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দরকার পড়লে সংসদেও দেখা করবে সব দল।
ফারুক আবদুল্লা বলেন, আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ইভিএম মেশিন নিয়ে ভয় আছে। যদি ছলনা করে নির্বাচন জেতা হয়, আমরাই কখনই মেনে নেব না।
অখিলেশ যাদব বলেন, দল হয়তো আমরা নিজের মত চালাই কিন্তু দেশের স্বার্থে সকলকে এক মঞ্চে এনেছেন বলে মমতাজি কে ধন্যবাদ জানাই। সমগ্র দেশকে নিরাশ করেছে বিজেপি। এমন স্বপ্ন দেখিয়েছে যা পূরণ করতে পারে নি, তাই সাধারণ মানুষকে সাবধান করছি, তারা যাতে এদের প্ররোচনায় পা না দেন।
সতীশ মিশ্র বলেন, মানুষ এই সরকারকে উৎখাত করতে চায়। গত নির্বাচনের মত ইভিএম খারাপ করে যাতে ভোট বদল করতে না পারে সেদিকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সব দল মিলে আমরা এই কথা নির্বাচন কমিশনকে জানাব।
অভিষেক মনু সিংভি বলেন, যখন সারা পৃথিবীতে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দেশ আছে যেখানে ইভিএম যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, তাহলে ভারতবর্ষ কেন ব্যালটের মাধ্যমে ব্যবস্থা শুরু করছে না? আমেরিকার কিছু প্রদেশ, হল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানির মত উন্নত দেশও প্রথমে ইভিএম পরীক্ষা করে পুনরায় ব্যালটে ফিরে গেছে। কিন্তু, যেহেতু, হাতে সময় খুব কম, তাই আমাদের সকলের দাবী সমস্তও ইভিএম যন্ত্রে ভিভিপ্যাট থাকা জরুরী। ৫০ শতাংশ যন্ত্রের ক্রসচেক হওয়া দরকার। আমরা সামনের সপ্তাহ থেকে নির্বাচন কমিশনে এই বিষয় নিয়ে যাব।
চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, এই বৈঠক দেশ বদলাবে। এই মুহূর্তে আমাদের দেশ সঙ্কটে, গণতন্ত্র বিপন্ন। আমাদের দেশ বাঁচাতে হবে, গণতন্ত্র বাঁচাতে হবে। বিজেপি সব জায়গায় বিভাজনমূলক কাজ করছে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা সকলে মিলে আগামী দিন কীভাবে এগোব, সেই সিদ্ধান্ত নেব।