সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১৭, ২০১৯

৭৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাংলায় 

৭৫০ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাংলায় 

শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে রাজ্যে আসতে চলেছে প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকার বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ব্রিটানিয়ার মতো সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদন বাড়াতে তিনশো কোটি টাকা লগ্নি করতে চলেছে তারা। বাকি সাড়ে চারশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে আরও আটটি শিল্প সংস্থা। নবান্নের প্রয়াসে রাজ্যে চর্মশিল্পেও নয়া দিন আসতে চলেছে। উত্তরপ্রদেশের চর্মশিল্প ইউনিটগুলির বড় অংশের গন্তব্য এই রাজ্য। ঠাঁই মিলবে বানতলায়।

বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শিল্প ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকের পর পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে অন্যতম সিদ্ধান্ত হল, শিল্প-বাণিজ্য দপ্তরের অধীনে নয়া শিল্প ইউনিট নির্মাণে ৭৫.৩৫ একর জমি দেওয়া হবে। এর সঙ্গে নয়া বিনিয়োগের জন্য ৫০৬৮.১৮ বর্গফুট আয়তনের মডিউলও লগ্নিকারীরা পাবেন।’ পার্থর হিসাব মতো, সব মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকা বিনিয়োগ আসতে চলেছে। এর মধ্যে ব্রিটানিয়া বিনিয়োগ করবে তিনশো কোটি। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের অধীনে কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা জায়গায় যে শিল্প পার্কগুলি রয়েছে, সেখানেই জমি দেওয়া হবে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্রিটানিয়া খড়্গপুরে বিদ্যাসাগর শিল্প পার্কে জমি পাবে। সেখানে ওই সংস্থা বিস্কুট, কেক, ক্রসোঁ বানাবে। ব্রিটানিয়া রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, রাজ্যের কাছে ব্রিটানিয়া নয়া বিনিয়োগের প্রস্তাব পেশ করেছিল। তাতে ভালো সাড়া মেলায় বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা খুব আশাবাদী। পার্থ বলেন, ‘সাধারণ ভাবে যে কোনও বিনিয়োগে সমান্তরাল ধারায় কর্মসংস্থান হবে বলে আমাদের আশা। এখন দেখার, নয়া বিনিয়োগগুলি শ্রমনিবিড় না পুঁজিনির্ভর, কী ধরনের হয়।’

নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে আরও একটি সুখবর দেন। তাঁর সঙ্গে তখন ছিলেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেশবিদেশের নামী চর্মশিল্প ইউনিটগুলি পশ্চিমবঙ্গে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী। উত্তরপ্রদেশের বহু চর্মশিল্প ইউনিটও পশ্চিমবঙ্গে আসতে আগ্রহী। সে কারণে বানতলা থেকে আইটি ইউনিটগুলি রাজারহাটের সিলিকন ভ্যালিতে স্থানান্তরিত হবে। তথ্যপ্রযুক্তির প্রায় আট হাজার কর্মীও সেখানে চলে যাবেন। নয়া চর্মশিল্প ইউনিটগুলি বানতলাতেই কাজ শুরু করবে।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে নানা বিধিনিয়মের জালে চর্মশিল্প ইউনিটগুলি সমস্যায় পড়েছে। তারা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসতে চায়। রাজ্যের চর্মশিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গেও উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ীরা কথা বলেছেন। তাঁরা রাজ্য সরকারেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতালির নামী একাধিক সংস্থাও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ইতালি সফরের সময়েই এ ব্যাপারে সাড়া মিলেছিল সে দেশের চর্মশিল্প ইউনিটগুলির তরফে।