সাম্প্রতিক খবর

জানুয়ারী ১১, ২০১৯

২৬শে জানুয়ারি দিল্লিতে রাজ্যের ট্যাবলোর বিষয় গান্ধীজির অনশন

২৬শে জানুয়ারি দিল্লিতে রাজ্যের ট্যাবলোর বিষয় গান্ধীজির অনশন

২৬শে জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে এবছর বাংলার ট্যাবলোর থিম হল, শান্তিনিকেতনে এবং বেলেঘাটায় গান্ধীজি। কী ধরনের ট্যাবলো হবে, তার মডেলই বা কী হবে – সব পরিকল্পনাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

১৯৯৯ সালে বামফ্রন্ট সরকার ২৬শে জানুয়ারির কুচকাওয়াজে আর অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চাকা ঘোরে ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর। দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০১২ সালে ফের ট্যাবলো পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ। সেবারের থিম ছিল শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব। পরের বছর ২০১৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দের দেড়শো বছরের উপর ভিত্তি করে ট্যাবলো করা হয়। ২০১৪ সালে ট্যাবলোর থিম ছিল বাংলার ছৌ নৃত্য, যা প্রথম স্থান অধিকার করে। ২০১৬ সালে ট্যাবলোর থিম ছিল বাংলার বাউল। সেবারও প্রথম হিসেবে পুরস্কার পায় পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৭ সালের ট্যাবলোতে থিম ছিল শারোদৎসবে ঢাকের বাদ্যি।

২০১৫ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে থিম হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু তারা অনুমোদন না করায় সেই বছর ট্যাবলো পাঠাতে পারেনি রাজ্য। ২০১৮ তে ছিল একতাই সম্প্রীতি। তারও অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্র।

১৯১৫ সালের মার্চ মাসে শান্তিনিকেতনে গান্ধীজির সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয় ট্যাবলোতে। ওই দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তির সাক্ষাতের মুহূর্ত ফাইবারের মডেলে তৈরী করা হবে। ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট চওড়া ট্রেলারের উপরে সাজানো ট্যাবলোর অগ্রভাগে ওই ফাইবারের মডেল থাকবে। মডেল দুটির পিছনে রবিঠাকুরের শান্তিনিকেতনের বাড়ি শ্যামলী’র আদলে তৈরী হবে। পরের অংশে থাকবে জাতীয় পতাকা।

ট্রেলারের পিছনের দিকে তৈরী হবে বেলেঘাটার তৎকালীন হায়দরি মঞ্জিল, যা বর্তমানে গান্ধীভবন। যেখানে দাঙ্গার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের ১৩ আগস্ট থেকে ৭৩ ঘণ্টার অনশন করেছিলেন গান্ধীজি। কয়েকজন দাঙ্গাকারী তাঁর কাছে অস্ত্র সমপর্ণ করে। দাঙ্গাকারীরা দাঙ্গা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলে ফলের রস খেয়ে অনশন ভঙ্গ করেছিলেন গান্ধীজি। পুরো বিষয়টি জীবন্ত মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে ট্যাবলোতে। উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা লাভের দিন তিনি ওই হায়দারি মঞ্জিলেই ছিলেন।

১০ জন শিল্পী গান্ধীজি সহ অন্য চরিত্র তুলে ধরতে ট্যাবলোতে অংশ নেবেন।

সৌজন্যেঃ বর্তমান