জানুয়ারী ১০, ২০১৯
সাত বছরে সাগরদ্বীপে অভূতপূর্ব উন্নয়ন

গত সাত বছরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সাগরদ্বীপে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুন্যার্থী আসেন। এছাড়াও, সারা বছরে জুড়েই এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে।
এক নজরে দেখে নিন সাগরদ্বীপে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কিছু উদাহরণ:
পরিকল্পিত ভাবে বর্তমানের পরিকাঠামোর সংস্কার করে এবং নতুন পর্যটন আকর্ষণ তৈরী করতে ২০১৩ সালে গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এবং এই পর্ষদের অধীনে অঞ্চল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সাগর ব্লকের চেমাগুড়ি ফেরি ঘাটে চেমাগুড়ি সেতু তৈরী করা হয়েছে।
পুন্যার্থীদের সুবিধার্থে চিমাগুড়ি নতুন বাস টার্মিনাস থেকে বটতলায় জিএস মেলা এমার্জেন্সি জেটি পর্যন্ত রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। এর ফলে নামখানা – বেনুবন চেমাগুড়ী জলপথ পর্যন্ত পৌছনো সম্ভব শ্রীদাম মোড় থেকে গঙ্গাসাগর মন্দির হয়ে বনবিবি মন্দির পর্যন্ত রাস্তা তৈরী করা হয়েছে।
সাগর দীপে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হয়েছে।
সাগর দীপের তটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কম খরচের যাত্রী বান্ধব হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা হয়েছে কলকাতা ও গঙ্গাসাগরের মধ্যে।
সাগর দীপে একটি পথসাথী তৈরী করা হচ্ছে।
গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন অসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীদের নিযুক্ত করা হয় পুন্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য।
বকখালি-গঙ্গাসাগর-জম্বুদীপ সার্কিটে ইকো-পর্যটনকে তুলে ধরতে কর্মসুচী গ্রহণ করা হয়েছে।
কপিল মুনি আশ্রমের সংস্কার ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু তৈরী করা হয়েছে।
গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বাসের রুট খোলা হয়েছে।
বর্ষার জল থেকে বাঁচার জন্য কেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে।
গঙ্গাসাগরকে ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরার জন্য ২০টি কটেজ, রাস্তা, আরসিসি ড্রাইভওয়ে, গাড়ি পার্কিং, আলোর বন্দোবস্ত, খাবারের জায়গা, শৌচাগার ব্লক, কেনাকাটার জায়গা, লট ৮ এবং কচুবেড়িয়াতে ওয়েলকাম গেট, কচুবেড়িয়াতে দ্বিতল রাত্রিবাস ও শৌচাগার তৈরী করা হয়েছে।
পাবলিক রেন শেল্টার ও নাটমন্দিরকে পুন্যার্থীদের বিশ্রামের জায়গা হিসেবে তৈরী করা হয়েছে। ১২৪ জন পুজার সামগ্রী বিক্রেতার জন্য পাবলিক রেন শেল্টার ও ডালা আর্কেড তৈরী করা হয়েছে। লিচ পিট নির্ভর ১০টি শৌচালয় তৈরী করা হয়েছে।