জানুয়ারী ৯, ২০১৯
চেকের মাধ্যমে ধান কেনার সূচনা রাজ্য সরকারের

কৃষকদের ঠকিয়ে কেউ ধান কিনতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার৷ প্রয়োজনে রাত বারোটা পর্যন্ত সরকারি ধান ক্রয় সেন্টার খুলে রাখা হবে৷ এবার থেকে ধান বিক্রী করে হাতে চেক নিয়ে যাবেন কৃষকরা৷ সারা দেশের মধ্যে বাংলাতেই সর্বপ্রথম এই ব্যবস্থা চালু হল৷
বাগনান-১ ব্লকের অন্তর্গত কিষান মাণ্ডিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সরাসরি চেকের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে খারিফ মরসুমের ধান কেনার সূচনা করে একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, একজন কৃষকও যেন চোখের জল না ফেলেন, সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে৷ এইজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার জন্য ৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন৷ প্রয়োজনে ধান কেনার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে৷
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গত দু’বছর এফসিআই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে চাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের শিশুদের কথা ভেবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে চাল সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ এই বাবদ রাজ্য সরকার এফসিআইয়ের কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা পায়| এফসিআই এখনও পর্যন্ত সেই টাকা পরিশোধ করেনি৷
তিনি বলেন, যে জেলা থেকে ধান কেনা হবে তা সেই জেলার মানুষের প্রয়োজনেই লাগানো হবে৷ কোনও জেলার ধান উদ্বৃত্ত হলে তা অন্যত্র বিক্রী করা হবে৷